স্টাফ রিপোর্টার,
দৈনিক বিজয়ের বাণী:
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশের উপর হামলা- এবং গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় দুই সপ্তাহ কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্ত হয়েছেন সখিপুর উপজেলা বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মী। আজ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের, সকল নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন দুপুরে আসামিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী এস এম ফায়জুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলায় ১৩ ফেব্রুয়ারি ৫৬ জন আসামি ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে অসুস্থতাজনিত কারণে ১০ জনকে জামিন দিয়ে বাকি ৪৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) আসনে বিএনপির জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী। নির্বাচনের ১০ দিন আগে ১৮ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের বড়চওনা এলাকায় টহলরত পুলিশের গাড়িতে হামলা ও পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করে সখিপুর থানা-পুলিশ।
ওই বছর ১৯ ডিসেম্বর করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ ১৯৪ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার এক বছর দশ মাস পর পুলিশ অধিকতর তদন্তের পরে২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর ১২৯ জনকে আসামি করে, অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
জামিনে মুক্ত হলেন যে সকল নেতা-কর্ম মধ্যে তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আবদুল বাছেত,পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম আজাদ, কালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, হাতীবান্ধা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি খায়রুল হাসান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন, বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি (সাবেক কাকড়াজান ইউ.পি.চেয়ারম্যান) বীরমুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজু মামলার বিষয়ে বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সং সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে, আওয়ামীলীগ'র সূচনীয় পরাজয় বুঝতে পেরে বিএনপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা–কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী বাদী হয়ে কয়েকটি “গায়েবি” মামলা করে। আমি তীব্র নিন্দা জানাই এবং ওই সকল ‘গায়েবি’মিথ্যা ভিত্তিহীন সকল মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
এর আগে একই মামলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ২৫ নেতা-কর্মী গত ১২ জানুয়ারি একই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। ২০ দিন কারাভোগের পর ১ ফেব্রুয়ারি একজন ব্যতিত বাকি ২৪ জন জামিনে ছাড়া পান।