সখীপুরের চাষীদের এখন ব্যস্ত সময় কাটছে, আমন ধানের বীজতলা তৈরীতে।
মির্জা সাইদুল ইসলাম (সাঈদ)
টাংগাইলের সখিপুরে চাষীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। বর্ষার এলেই প্রতি বছর শুরু হয় আমন ধান চাষের মৌসুম। তাই এখন প্রতিদিন বৃষ্টির পানি জমিতে ধরে, বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত স্থানীয় আমন চাষীরা। আবার কিছু দিন পরেই আমনের চারা রোপনেও ব্যস্ত হয়ে পরবেন কৃষি প্রধান জেলা টাংগাইলের সখীপুরের চাষীরা। তারা বীজতলা তৈরীর জন্য ইতিমধ্যে নেমে পড়েছেন।
তারা তাদের বীজতলা তৈরীর নির্ধারীত উঁচু স্থানে বীজের চারা উৎপাদনের জন্য কাজ করছেন।এদিকে চাষীরা কিছুদিন আগেই তাদের উৎপাদিত বোরোধান ঘরে তুলেছেন। বেশ ক'দিন বিশ্রাম শেষে আবারও মাঠে নেমেছেন চাষীরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,বর্ষার আগমনের শুরুতেই তারা ইতিমধ্যেই বীজতলা তৈরীর জন্য সব রকম প্রস্তুতি গ্রহন করছেন।
পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কৃষক,
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস মিয়া এবং মোঃ সুলতান বাদশা বলেন, এ'বছর আমরা ১০বিঘা জমির জন্য বীজতলা তৈরী করেছি। তাছাড়া উন্নত জাতের বীজও সংগ্রহ করেছি যাতে করে ধান উৎপাদনে ভালো ফলন হয়।
অপর কৃষক শাহ আলম ও আবুল কালাম জানান,আমার নিজের জমিতে যে পরিমান চারার প্রয়োজন তার চেয়ে দ্বিগুণ চারা উৎপাদন করবো।রোপন মৌসুমে সেই চারা অন্যত্র বিক্রি করে, সেই টাকা দিয়েই জমিতে হালচাষ, সার এবং শ্রমিকের খরচ বহন করবো।
উপজেলার কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,গত বছর এই উপজেলার কৃষকরা ৮শত হেক্টর জমিতে চারা উৎপাদন করেছিলো।এবারও আমরা আশা করছি সেই পরিমান চারা তারা উৎপাদন করবেন।এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৫০ হেক্টর।
এব্যপারে সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন,উপজেলার কৃষকদের সঠিক ভাবে বীজ উৎপাদনের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। আর্দশ বীজতলা তৈরীর জন্য সঠিক পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়াও আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের নানান ভাবে আমাদের সাহায্য এবং সহযোগিতা অব্যহত রেখেছি। প্রয়োজন মাফিক সব ধরনের সহায়তা চলমান থাকবে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
তারিখঃ- ২৩/০৬/২০২১
ফোনঃ-০১৭১১-৫১৬৩০৩।