মির্জা সাইদুল ইসলাম (সাঈদ)
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক বিজয়ের বানী।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে সখীপুর পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্থ নিন্মআয়ের মানুষ সহ সখিপুরের যে কোনো নাগরিক তার খাদ্যের প্রয়োজনে নিয়ম মাফিক খোলা বাজারে (ওএমএসের) চাল-আটা ক্রয় করতে পারবেন।
রবিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়েছে এ চাল-আটা বিক্রয়। প্রতি কেজি চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা। জন প্রতি পাঁচ কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আটা। তাতে করে একজন মানুষের ৫কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা পাবেন ২৪০ টাকায়। শুধু মাত্র শুক্রবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ১০ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এই ওএমএস কার্যক্রম চালু রাখা হবে। আগামী ৭ আগষ্ট পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্রয়ের জন্য নির্ধারিত ডিলার গন।
উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, সখীপুর পৌরসভার গার্ল্স স্কুল সংলগ্ন উত্তরা মোড়, সরকারী মুজিব মুজিব কলেজ রোডের কলেজ মোড়,জেলখানা মোড়,হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে পিছের মাথায় খাদ্য অধিদপ্তর থেকে নির্ধারিত চারজন ডিলারের মাধ্যমে খোলা বাজারের এই চাল ও আটা বিক্রির কর্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
সখীপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল আলম ফাহিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় করোনায় নিম্নআয়ের জনসাধারনের খাদ্য প্রাপ্তি সহজলভ্য করার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের চাল বিক্রি শুরু করা হয়েছে। প্রতিদিন চারজন ডিলারের মাঝে প্রতিজন কে দেড় টন করে চাল ও ১ টন করে আটা বিক্রি করতে পারবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল,৫কেজি আটা কিনতে পারবেন। প্রতি কেজি চালের দাম ঠিক করা হয়েছে ৩০ টাকা।আটার মুল্য ঠিক করা হয়েছে ১৮ টাকা।
এ সকল (ওএমএস) ডিলারদের দৈনিক বিক্রয় পর্যবেক্ষণের জন্য সখিপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক চারজন কর্মকর্তা কে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিদর্শনায় বলা হয়েছে প্রত্যেক ডিলার ও তদারকির দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিক্রয় কার্যক্রম করতে হবে।
এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চিত্রা শিকারী এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, হা,মীম তাবাসসুম প্রভাকে প্রতিটি পয়েন্ট ঘুরে ঘুরে খোঁজ খবর নিতে দেখা গিয়েছে।