বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার বেতাগী উপজেলার সড়িষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদী ও বরগুনা সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন বিষয়টি দৈনিক বিজয়ের বাণী পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন বেতাগী উপজেলার সড়িষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার, পূর্ব সড়িষামুড়ি গ্রামের খোকন জোমাদ্দার, একই গ্রামের মো. হুমায়ুন কবির, মো. বশির খান ও উত্তর ভোড়া গ্রামের কবির হোসেন খান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেতাগী উপজেলার সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ শরিফের মধ্যে ইউপি নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধের জেরে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে চলমাস সহিংসতায় একজনের নিহত ও উভয়পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হত্যাসহ একাধিক মামলা চলছে।
এর ধারাবাহিকতায় ইউসুফ শরিফ তাঁর ছেলে ও কর্মীদের নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে একটি মামলায় বরগুনার আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচ্চন্না এলাকায় পৌঁছালে শিপন জোমাদ্দারের সমর্থকদের বাঁধার মুখে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে বরগুনা সদর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে আসে। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তাঁরা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ রাউন্ড টিয়ার সেল ও শটগান দিয়ে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালালে উভয় পক্ষ পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শিপন জোমাদ্দারের ছোট ভাই মো. টিটু জোমাদ্দারকে প্রধান আসামি করে ৪১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। শিপন জোমাদ্দার ওই মামলার দুই নম্বর আসামি।
মামলার বাদী ও বরগুনা সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় ইমাম হোসেন শিপন সমর্থকেরা তাঁর ভাই টিটুর নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গতকাল বুধবার মামলা করেছেন।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহমেদ দৈনিক বিজয়ের বাণী পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে বিকেলে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।