মোঃ শহিদ ফরাজী,মনপুরা প্রতিনিধি,,,
ভোলার মনপুরা উপজেলা দেড় লক্ষ মানুষের বসবাস।ভোলা জেলার ছোট্ট একটি দ্বীপ মনপুরা। কেউ কেউ ডাকে মায়াবী বলে,,কেউ কেউ ডাকে সৌন্দর্যের দ্বীপ আবার সম্ভাবনাময় দ্বীপ মনপুরা বলে।
প্রায় সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীনদ্বীপ মনপুরা।
৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত মনপুরা উপজেলা। সরকারের প্রায় সকল অফিস উক্ত উপজেলায় রয়েছে।
তজুমদ্দিন উপজেলায় ভোর রাতে মোরগ ডাকলে,,মনপুরা উপজেলায় শুনা যেতো।
চিকন একটি খাল থেকে আজ সর্ববৃহৎ মেঘনা নদী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের চিন্তানিবাস আজ দিনদিন মেঘনার কবলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পুর্তগীজরা সর্বপ্রথম মনপুরা দ্বীপে এসে কিছু কেইস
ওয়ালা কুকুর রেখে যায়।
কথায় বলে,,, আগুনে পুড়লে মাটি থাকে আর নদী ভাঙ্গলে কিছুই থাকেনা।
হাজারো হাজারো ঘরবাড়ি,, শতশত মসজিদ,রাস্তাঘাট,,স্কুল, কলেজ, মন্দির নদীর গর্ভে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
নদীর পাড়ে অসংখ্য মানুষের সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম যে
অনেক পরিবার ৭/৮বার ভাঙতে ভাঙতে বর্তমানে তারা বেড়ির পাড়ে থাকে।
বহু পরিবার নদীর কবলে পড়ে নিস্ব হয়ে গেছে।
প্রায় পরিবার গুলো নদীর সাথে যুদ্ধ করতে করতে একেবারে পথের বিকারী হয়ে গেছে।
এখন তারা মুখে মুখে বলে বেড়াই
আমরা সনপুরাবাসী সরকারের কাছে রিলিফ চাই না- টেকসই বেড়িবাঁধ চাই এবং ব্লক চাই।
মনপুরা নদী ভাঙ্গন এর চিত্র নিজ চোখে না দেখলে বুঝাই যায় না যে,,
কত কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করছে অবহেলিত মানুষ গুলো।
বাংলাদেশের মানচিত্রে মনপুরা উপজেলার নামটি যাতে মুছে না যায়
তার জন্যে,,
স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি সাহেবের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
মনপুরা উপজেলায় দেড় লক্ষ মানুষের
প্রাণের দাবী নদী ভাঙ্গন থেকে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ গ্রহন করা।
Leave a Reply