সরকারি নিতীমালার স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক ও শারিরিক দূরত্বের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন আমজনতা।
মুহাম্মদ আমির উদ্দিন, জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার:-
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এখন শুধুমাত্র স্লোগান আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সকল প্রশাসন বারবার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বললেও তা মানছে না সাধারণ মানুষ।
তাছাড়া কোভিড-১৯ নামের এই ভাইরাসের টিকা বা ঔষধ আবিষ্কার হলেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা ছাড়া এই ভাইরাসের থাবা থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় নেই বলছেন গবেষকরা।
এই কোভিড ১৯'র কারণে মার্চ ২০২০থেকে ধারাবাহিক ভাবে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকি মসজিদ গুলোতেও মুসল্লীদের যাতায়াত নির্ধারণ করেছে সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত দুই ঈদের নামাজও নিজ মহল্লার মসজিদে আদায় করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আছে ধর্মীয় উৎসবসহ সকল অনুষ্ঠানের উপর কিন্তু কতটুকু পালন হচ্ছে সেটাই ভাবার বিষয়।
তবে করোনা আতংকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস ছেড়ে দিয়েছেন ডিগ্রিধারী চিকিৎসকরা।
নিষেধাজ্ঞা আছে গণপরিবহন থেকে শুরু করে আন্তঃজেলা বাসগুলোর চলাচলও, কিন্তু সেগুলো মাঝে মধ্যে চলতে দেখা যায়।
শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পুরো দায়িত্ব নেয়ার শর্তে খোলে দেয়া হয়েছে দেশের পোষাক কারখানাগুলো, কিন্তু চলমান পোশাক কারাখানা গুলোতে শ্রমিকরা কতটুকু সুরক্ষা পাচ্ছে তার কোনো মনিটরিং আজও আছে কিনা সেটাই জনমনে প্রশ্ন।
তাছাড়া পোশাক কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা বলা হলেও এর বাহিরে জনপদে সাধারণ নাগরিকেরা সুরক্ষিত কতটুকু?
ছোঁয়াচের মাধ্যমে যদি করোনার প্রাদুর্ভাব হয়, তাহলে বাসা থেকে সামাজিক দূরত্ব না মেনে দলবেধে অফিসে যাওয়া-আসা কতটুকু যৌক্তিক আছে?
এখন বাজার হাটে গেলে মনে হয় করোনাকে সবাই জয় করে ফেলেছে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের মানুষ কিছুই মনে করছেন না করোনাকে।