শরিফা বেগম শিউলী
রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সদর দপ্তর সরকারি অফিসের কাজ সরকারি প্রতিষ্ঠানের চুরি করা মালামাল দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে। শনিবার (১৭ জুলাই) সকালের দিকে রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সদর দপ্তরের সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্লী বিদ্যুতের চুরি করা ইলেকট্রিক নতুন ও পুরাতন পিলার এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডিভিশন বোর্ড এর ইলেকট্রিক পুরাতন তার প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জানা যায়, লিজা এন্টারপ্রাইজ নামের এক প্রতিষ্ঠান রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সদর দপ্তরে ইলেকট্রিক্যাল কাজের টেন্ডার পেয়েছে। সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর কার্যালয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চুরি করা পুরাতন ও নতুন মোট ৩৩ টি ইলেকট্রিক পিলার এবং একটি তারের ড্রাম ব্যবহার করা হচ্ছে। গণপূর্ত কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রংপুর মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা বলেন পিলার গুলো লাগানোর আগে আমরা গুণগত মান যাচাই বাছাই করবো,কোন কোম্পানির ভাউচার দেখে তারপর কাজ শুরু করবো। কিন্তু যাচাই বাছাই ছাড়াই চোরাই করা মালামাল দিয়ে কাজ প্রায় শেষের দিকে। এটা কিভাবে সম্ভব?
এ বিষয়ে লিজা এন্টারপ্রাইজ এর প্রোপাইটর ও ঠিকাদার আব্দুস সামাদকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তরের কার্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল সাইডের কাজটা আমরা পেয়েছি। পল্লী বিদ্যুতের পিলার ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডিভিশন বোর্ড পুরাতন ইলেকট্রিক পিলার ও ইলেক্ট্রিক তার সম্পর্কে জানতে চাইলে। তিনি বলেন সাব ঠিকাদার শমসের আলী ও রফিকুল ইসলাম মুন্সীর মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পুরাতন ও চোরাই করা মালামাল ক্রয় করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পুরাতন ও চোরাইকৃত মালামাল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এইভাবে মালামাল ক্রয় না করলে কিভাবে মালামাল পাবো আপনারাই বলেন। টেন্ডার ফেন্ডারে এই সব মালামাল গুলো সহজে পাওয়া যায় না। আমি অসুস্থ মানুষ। আমাকে আর ফোন দিয়ে বিরক্ত করবেন না। সমসের আলীর কাছে কল দিয়ে জেনে নেন চোরাইকৃত মালামাল কোথা থেকে নিয়েছে।
পরে ঠিকাদার শমসের আলীকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে চোরাইকৃত মালামাল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ ডাক্তারের কাছে এসেছি আমি ঠিকাদারি করিনা আমার মোবাইল নাম্বার আপনাকে কে দিয়েছে বলেন আমি তার ব্যবস্থা নিবো। সামাদ মিয়া কোথায় থেকে মালামাল নিয়ে এসেছে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে ফোন কেটে দেন।পরে রফিকুল ইসলাম (মুন্সি)কে ফোন দিলে তিনি বলেন সমসের আলী ঠিকাদারি পাইছে ওনি বলতে পারবে আমি কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে বিভাগীয় গণপূর্ত অফিসের নির্বাহি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমরা রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর কার্যালয় পরিদর্শন করেছি। সেখানকার কাজের জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রিক পিলার ও ইলেকট্রিক তার অবৈধভাবে নিয়ে এসেছে। সেগুলোর কোন বিল ভাউচার দিতে পারেনি। যে অভিযোগ পেয়েছি তা সত্য। যারা এই অবৈধ মালামাল নিয়ে এসেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।#
Leave a Reply