সারা দেশের মতো বরিশালেও শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধের টিকা প্রদান কার্যক্রম।
স্টাফ রির্পোটার:- মো: রিপন
রবিবার সকাল ১০টায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি বুথে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
এরপরপরই টিকা গ্রহণ করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহিন এবং সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অসীত ভ‚ষন দাস। এরপর অন্যান্য ডাক্তার এবং নার্সরা টিকা গ্রহণ করেন। করোনার টিকা প্রদানের সূচনা কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সকলকে উৎসাহ প্রদান করেন।
প্রথম টিকা গ্রহনকারী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, সবার ভয় ভাঙাতে তিনি সর্বপ্রথম টিকা নিয়েছেন। তার মতে ভ্যাকসিন ভীতিকর কিছু না। জনগনকে টিকা নিয়ে সুরক্ষিত থেকে দেশ এবং দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানোর আহবান জানান তিনি।
টিকা প্রদানের সূচনা কার্যক্রমে উপস্থিত সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, প্রথমে ডাক্তাররা টিকা নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তারাও টিকা নেবেন। কিছু লোক করোনার টিকা নিয়ে নেতিবাঁচক নানা গুজব-গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। তবে যারা টিকা নিয়েছেন তারা বলছেন এতে কোন পার্শ^প্রতিক্রিয়া কিংবা ভয়ের কিছু নেই। বরং টিকা নিয়ে তারা আরও সুরক্ষিত হয়েছেন। সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ভয়কে জয় করে টিকা গ্রহন করে করোনাকে পরাজিত করার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান।
বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ১৭টি কেন্দ্রে প্রথম দিন টিকা নেয়ার জন্য ইতিপূর্বে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪২৭ জন। এর মধ্যে শের-ই বাংলা মেডিকেলের বুথে ১৮১জন, জেনারেল হাসপাতালে ১২১ জন এবং পুলিশ হাসপাতালে ১২৫ জন নিবন্ধিত রয়েছেন।
জেলার ৯ উপজেলায় প্রথম দিন টিকা গ্রহনের জন্য প্রায় সাড়ে ৪শ মানুষ নিবন্ধিত হয়েছেন। প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি করে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে টিকার বুথ করার কথা ইতিপূর্বে জানানো হলেও প্রথম দিন ৯টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে বুথ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রথম দিন কোন বুথ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন।
তবে যারা এ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম নয় তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মোনয়েম সাদ। টিকাদান কেন্দ্রে গিয়েও যে কেউ টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে বলে তিনি জানান।