সিংড়া(নাটোর) সংবাদদাতাঃ
নাটোরের সিংড়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিএডিসির পানাসি প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪.৫ কি,মি খাল পুনঃখনন এবং ৩৬ টি ভূ- গর্ভস্থ সেচনালা সহ এলএলপি ক্ষেত্রায়ন করা হয়েছে।
বছরের পর বছর খননের অভাবে খালগুলো মৃতপ্রায় হয়ে গেছিলো। এর কারণে জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকদের ধান বনন করতেও দেরী হতো,ধান লাগানোর পর আকস্মিক বৃষ্টি হলে পুরো মাঠ ডুবে যেতো,ফসল কাটার পর পরিবহন করতেও সমস্যা হতো।এর ফলে কৃষকদের অনেক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো এবং তারা জমি অনাবাদী রেখে দিতো। ২০২০-২১ অর্থ বছরে স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এই খালগুলো পুনঃখননের উদ্যোগ নেন বিএডিসির মাধ্যমে।
এই খাল পুনঃখননের ফলে প্রায় ১৫০০০ একর জমির জলাবদ্ধতা দূর হয়েছে এবং ৮০০০ একর জমি সেচের আওতায় অর্ন্তভুক্ত হয়েছে নতুন করে। কৃষকদের সেচের খরচ সাশ্রয় করার জন্যে ৩৬ টি এলএলপি পাম্প ক্ষেত্রায়ন করা হয়েছে, এর ফলে নদী,খাল বিলের পানি সহজেই ব্যবহার করে কৃষক জমিতে সেচ দিতে পারছে।
কুমগ্রাম গ্রামের কৃষক আউনুস বলেন, খাল খননের কারনে আমরা কৃষকরা অনেক উপকৃত হয়েছি আমাদের ধান আর পানিতে ডুববে না নষ্ট হবে না খাল খননের কারনে আমাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে।
বিএডিসির সিংড়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী শাহ্ কিবরিয়া মাহবুব তন্ময় প্রতিবেদক রবিন কে বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের দিকনির্দেশনা এবং পানাসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও নাটোর রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে সিংড়া উপজেলায় রেকর্ড সংখ্যক ৬৪.৫ কি,মি খাল পুনঃখনন করা হয়, এর ফলে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ সম্ভব হয়েছে বহুলাংশে,খননকৃত খালে মাছচাষ এবং হাঁস পালন বিকল্প পেশা হিসেবে কৃষক বেছে নিচ্ছেন,খালের পাড় দিয়ে রাস্তা হওয়ার ফলে কৃষকদের ধানের পরিবহন সহজ এবং অর্থ সাশ্রয়ী হয়েছে।কৃষকদের সেচ খরচ সাশ্রয় এবং ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইন সহ নদী ও খালে ৩৬ টি এলএলপি(লো লিফট পাম্প) স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকদের প্রতি বছর কাঁচা সেচনালা তৈরির খরচ সাশ্রয় হলো এবং এ পদ্ধতিতে পানি কম লাগে বিধায় বিদ্যুৎ খরচও ৫০ শতাংশ কমে এসেছে।
২০২১-২২ অর্থ বছরে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের চাহিদা অনুসারে আমরা আরো ১০০ কি,মি খাল পুনঃখননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছি। ফলল পরিবহন সহজ করা ও কৃষকদের যাতায়ত ব্যবস্থা উন্নত করণের স্বার্থে মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের নির্দেশে তিশিখালী মাজার রাস্তা, ইসলবাড়িয়া রাস্তা, নিংগইন রাস্তা,পাঁচপাকিয়া রাস্তায় আরসিসি গোপাট নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে,এই শীত মৌসুমেই রাস্তার কাজ শুরু হবে।সবগুলো খাল পুনঃখনন শেষ হলে সিংড়া উপজেলায় আকস্মিক বন্যার প্রভাব অনেকটাই কমে আসবে এবং সেচের কাজে ভূপরিস্থ পানি ব্যবহারের একটা বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।