সিলেটে কিছু আবাসিক হোটেল মালিকরা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।
এএইস রনি দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের কিছু কিছু চিহ্নিত আবাসিক হোটেলে রমরমা অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশ প্রায় সময় অভিযান চালিয়ে নারী-পুরুষদের আটক করলে হোটেল মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পুলিশের একাধিক অভিযানেও কোনভাবেই এই অপতৎপরতার লাগাম টানা যাচ্ছেনা।
তবে আশার কথা শোনালেন সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ।
সংবাদ কর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, খুব দ্রুত যাতে এসব হোটেলের মালিকপক্ষকে আইনের আওতায় আনা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। সেই সাথে পুলিশ আবাসিক হোটেল মালিকদের কার্যক্রম নজরদারিতে রেখেছে।
সিলেটের কিছু বিশেষ আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন থেকে অসামাজিকতা চলছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মহিলাদের নিয়ে এসে এসব হোটেলে চলে এই অনৈতিক ব্যবসা।
এতে ওই হোটেলগুলোর মালিকপক্ষ বেশ ফুলে ফেঁপে উঠছেন। ইদানিং এ ব্যাপারে বেশ কড়াকড়ি অবস্থানে সিলেটের পুলিশ প্রশাসন। প্রায়ই অভিযানের মুখে নারী ও পুরুষদের আটক করার পরেও কিছুতেই থামছেনা নিষিদ্ধ এই ব্যবসা।
এর কারণ হিসাবে সচেতন মহল মনে করছেন, অভিযানে মালিক বা সংশ্লিষ্টরা আইনের আওতায় না আসার কারণেই এই অনৈতিক ব্যবসা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কেন তাদের ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছেনা- এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, শাহজালালের এই পবিত্র মাটিতে এমন অনৈতিক ব্যবসা চলতে পারেনা।
আমরা এ ব্যাপারে খুব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মালিকপক্ষকেও যাতে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়, সে ব্যাপারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। নিশ্চয় একটা ভালো ফলাফল আসবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিমানবন্দর বাইপাস রোড খুব ব্যস্ত একটি রাস্তা। এ রাস্তায় প্রচুর ট্রাক চলাচল করে রাতে। আর রাস্তাটিও মাত্র দুই লেনের।
যানবাহনের চাপে এ রাস্তায় রাতে যানজট লাগে। রাত ১১টার সময়ে ট্রাফিক পুলিশের ডিউটি শেষ হয়। পরে আমরা থানা পুলিশ দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা করি। এতে কিছু সমস্যা হয়। তবে এ সমস্যাও সমাধান হবে।
তার সময়ে এসএমপির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সেটা মূল্যায়নের দায়িত্ব জনগনের। তবে আমি মনে করি, যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। আগামীতে আরও ভালো হবে।
ভূমিকম্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। তবে কোন সমস্যা হলে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং উদ্ধার কাজে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়, আমরা তা ভালোভাবে দেখবো।
তিনি ভূমিকম্প ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে সিলেটবাসীর সহযোগীতা কামনা করেন।