জাকির হোসেন সুমন সিলেট ব্যুরোঃ
সিলেটে করোনাভাইরাসের উর্ধমূখী সংক্রমণের কারণে হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ বেড়ে চলেছে। একই সাথে বাড়ছে আইসিইউ বেডের চাহিদাও- তবে বেশ কিছু দিন থেকে সিলেটের কোথাও আইসিইউ বেড মিলছে না রোগীদের জন্য।মিলছে না সাধারণ শয্যাও। সম্প্রতি দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকটও।
এমন অবস্থায় করোনা ডেটিকেটেড হাসপাতালগুলোতে নির্ধারিত শয্যার বেশি রোগী ভর্তি করতে হচ্ছে। অথচ সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে আরও ৪৫০ বেডের আইসোলেশন ইউনিট সম্পূর্ণ থাকার পরও শুধু সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় কাজে লাগছে না।
এ অবস্থায় ওই ভভনটির ৪র্থ ও ৫ম তলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজনের ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ডিও লেটার (চাহিদাপত্র) পাঠিয়েছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবুল মোমেন।
গতকাল বুধবার প্রেরিত ডিও লেটারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন,সারা বাংলাদেশের ন্যায় অতি সম্প্রতি সিলেটেও করোনা মহামারি প্রকট আকার ধারণ করেছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ভবন উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে ৩য় তলা থেকে ১০ তলায় উন্নিত করা হয়েছে। কিন্তু ভবনটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজন করা হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবনটির ৪র্থ ও ৫ম তলা করোনা আইসোলেশন সেন্টারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দুইতলায় সাড়ে ৪শ’ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু কেবলমাত্র সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজন না থাকায় আইসোলেশন সেন্টার চালু করা যাচ্ছে না।
এই মহামারিকালে সিলেটের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ভবনটির ৪র্থ ও ৫ম তলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজনের ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়।