সিলেট এমসিতে গণধর্ষণ অধ্যক্ষ এবং হোস্টেল সুপারকে বরখাস্তের নির্দেশ।
সিলেট ব্যুরোঃ
সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ সালে আহমদ ও হোস্টেল সুপার জালাল উদ্দিসকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২ জুন) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুন) সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় জারি করা রুলের রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এমসি কলেজে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেছিলেন আদালত।
ওই রুলের রায়ে অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে হাই কোর্ট ব্যবস্থার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন এক নারী। এ সময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র তাকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যান। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী সেদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয় ছয়জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত। বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।