সুন্দরগঞ্জে ২১ বছরের প্রবাস জীবন আগুনে পুড়ে তছনছ
মো: আ: রহমান শিপন, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ০৬ নং সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের ফজল হক, পিতাঃ মরহুম ভোলা প্রামানিকের বাড়ি। এক পুত্র ও দুই কন্যার জনক ফজল হক। কর্মের নিমিত্তে পুত্র শাহীন ঢাকায় অবস্থান করছে। দুই কন্যা শ্বশুরালয়ে। নিজ বাড়িতে শুধুমাত্র স্ত্রী সহ ফজল হকের বসবাস। ১৫-০৫-২০২১তারিখ রোজ শনিবার সন্ধ্যায় ফজল হকের শ্বশুর ইন্তেকাল করিলে ফজল হক স্ত্রী সহ শ্বশুরালয়ে যান। রাত ১১ ঘটিকা নাগাদ শ্বশুরের শেষকৃত্য জানাজা শেষে দাফন কার্য শেষ করতেই ফজল হক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজ বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে হতভম্ব ও দিশেহারা হয়ে নিজ বাড়িতে আসেন এবং দেখেন তার সব শেষ!
দীর্ঘ ২১ বৎসরের প্রবাসী জীবনের তিলেতিলে গড়ে তোলা স্বপ্ন নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে। ফজল হক দীর্ঘ ২১ বৎসর মধ্য-প্রাচ্যের সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। জানতে চাইলে ফজল হক বলেন, ঘরে আজ রান্না-বান্না হয়নি, শ্বশুরের অসুস্থতার জন্য আমি আমার স্ত্রী সহ শ্বশুরালয়ে ছিলাম। সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে শুধুমাত্র গরু ঘরে তুলে ঘর তালাবদ্ধ করে আবারও শ্বশুর বাড়িতে যাই। সন্ধ্যার পর-পরই শ্বশুর ইন্তেকাল করিলে রাত ১১ টা নাগাদ জানাজা শেষে দাফন কার্য শেষ করতেই মোবাইল ফোনে জানতে পারি যে আমার বাড়ি-ঘর আগুনে পুড়ে যাচ্ছে! হতভম্ব ও দিশেহারা হয়ে দৌড়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার সব শেষ! স্থানীয় লোকজন পল্লী বিদ্যুত ও ফায়ার সার্ভিস অফিসে জানালে পল্লী বিদ্যুত অফিস বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সুন্দরগজ্ঞ স্টেশন ইনচার্জ নারায়ণ চন্দ্র বর্মা বলেন, সন্দেহ পোষণ করছি হয়তোবা বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিট হতে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। উপস্থিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রভাষক আব্দুল্লাহ-আল-মেহেদী রাসেল বলেন, হয়তোবা বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিট হতেই দূর্ঘটনা। তিনি আরো বলেন যে, পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের উচিত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পূর্বে দক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা ঘর-বাড়ি বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ওয়্যারিং এবং মানসম্পন্ন পন্য সামগ্রি ব্যবহার নিশ্চিত করা। কারণ দক্ষ টেকনিশিয়ান ও মানসম্পন্ন পন্য সামগ্রি ব্যবহার হলে হয়তোবা এরুপ দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।