1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
সোশ্যাল পাড়ার কওমি মহিলা মাদরাসার আত্মপ্রকাশে বিভ্রান্ত কওমিমনা। - dainikbijoyerbani.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
ad

সোশ্যাল পাড়ার কওমি মহিলা মাদরাসার আত্মপ্রকাশে বিভ্রান্ত কওমিমনা।

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১
  • ৫৬৩ Time View

সোশ্যাল পাড়ার কওমি মহিলা মাদরাসার আত্মপ্রকাশে বিভ্রান্ত কওমিমনা।

মুহাম্মদ আমির উদ্দিন কাশেম, স্টাফ রিপোর্টার:-

ইদানীং এফবি পাড়ায় কওমি মহিলা মাদরসা নামে বেশ কতগুলো গ্রুপের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে ! এদের কোনো কোনোটিতে ফুটন্ত যৌবনা তরুণীদের আকর্ষণীয় ছবি, কিছু বেফাঁস পোস্ট ও উদ্ভট স্ট্যাটাসও দেখতে পাওয়া যায়। তাই প্রশ্ন জাগে, আসলেই কি ওরা কওমির জন্মা নাকি কওমির দুশমন?

এদের স্ট্যাটাস ও পোস্টগুলো সাধারণত এমন হয়-
হুজুরনির সন্ধানে….(তরুণীর আকর্ষণীয় চিত্র)।
হাফেজা আলেমা… (আকর্ষণীয় বুরকাওয়ালি)।
হুজুর স্বামী চাই……..(আকর্ষণীয় নারীচিত্র)।
হুজুরের সন্ধানে……. (চোখ ধাঁধানো নারীচিত্র)।

সাহায্যের আবেদন:
প্রায় গ্রুপ থেকে হুজুরনীর পরিচয়ে কোনো কোনো প্রতারক টাকা আদায়ে তৎপর। তাদের প্রতারণার বুলি হচ্ছে-আমি হাফেজা আলিমা, আমার মা অসুস্থ, বোন অসুস্থ, লেখাপড়ার খরচ লাগবে, কিংবা আমার সন্তান হসপিটালে, এখন বিল পরিশোধ করতে হবে প্রভৃতি। তবে হ্যাঁ, কেউ বাস্তবে সমস্যাগ্রস্ত হলে সহযোগিতা করা সবারই ঈমানি দায়িত্ব।

সুবিশাল কারসাজি
এই ধরনের গ্রুপ তৈরি করে এডমিনরা বুস্ট বা স্পন্সর করেই রাতারাতি কয়েক লাখ সাবস্ক্রাইবার জুটিয়ে নেয়। টার্গেট যেহেতু অর্থ-কামাই, তাই এটা তাদের জন্য জলবৎ তরলং। আর খাড়ি খাড়ি kbর সুবিশাল গ্রুপ দেখে সরলপ্রাণ কওমিপ্রেমিরা নিমেষেই পতঙ্গের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এধরণের গ্রুপগুলোর অনেকটাই নিছক প্রতারণার ফাঁদ ও পিটফল বলা যায়।

কওমির শিক্ষা:
কওমি মাদরাসায় শরয়ী ইলমের আমলি শিক্ষা তথা পর্দা রক্ষার পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা দেয়া হয়, অর্ধপর্দার কিংবা তথাকথিত মডারেট পর্দা বা প্রথাসর্বস্ব পর্দার শিক্ষা কওমিতে দেয়া হয় না। এখানে তাকওয়ার সাথে শালীনতার শিক্ষা দেয়া হয়। বল্গাহীনতা, আচরণে কিংবা উচ্চারণে উগ্রতা ও অশালীনতা অন্তত কওমিতে শেখানো হয় না।

পুনশ্চ:
কওমি মাদরাসাগুলোতে শেখানো হয় কুরআন-হাদীস, যার মগজ বা সারবত্তা হলো তাকওয়া। তাকওয়া মানে পূর্ণাঙ্গ আল্লাহভীতি। এটি এমনই এক অনুভূতি যা (পাপের সব রকমের উপকরণ থাকা সত্বেও) পাপ ও দুষ্কর্ম থেকে মানুষকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রক্ষা করে। এই তাকওয়া অর্জনের শিক্ষা দেয়া হয় কওমিতে, শুধু শুধু ফতওয়া শেখানো হয় না।

কাজেই পোশাকে উগ্রতা, নগ্নতা, অশালীনতা কিংবা
আচরণে রূঢ়তা, রুষ্টতা ও লাগামহীনতা
দেখতে পেলে অবশ্যই বর্জন ও বয়কট করুন। কারণ, এটা মাদরাসা নয়,বরং অবশ্যই তা দুশমনদের চক্রান্ত।

অতএব, কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি