বেতাগী-বরগুনা প্রতিনিধি :-
সৌদি আরবে ওমরাহ পালন শেষে মদিনা থেকে মক্কায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মোজাম্মেল মৃধা ও সাগর জোমাদ্দারের লাশ তাঁদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় স্বজনেরা তাঁদের লাশ নিয়ে মির্জাগঞ্জের সুবিধখালীর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে সাগরের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টায় মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছৈলাবুনিয়ায় নিজ বাড়িতে মোজাম্মেলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত মোজাম্মেল সম্পর্কে সাগরের দুলাভাই।
নিহত মোজাম্মেলের ভায়রা ও সাগরের ছোট দুলাভাই মো. তারেক মুন্সি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সাগর ও মোজাম্মেলের মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিকেল সোয়া ৫টায় আমাদের মরদেহ বুঝিয়ে দেয়। সেখান থেকে সরাসরি আমরা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে রাত পৌনে ১২টায় সুবিধখালী পৌঁছাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি কর্তৃপক্ষ আমাদের শুধু লাশ পাঠিয়ে দিয়েছে। তারা পরিবারের দেনা-পাওনা, ইন্স্যুরেন্সের টাকা ও দোকানের টাকা কিছুই দেয়নি।’
সাগর জোম্মাদ্দারের মামা ও বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাগনি জামাই মোজাম্মেল নিজের জমি বিক্রি করে ও এনজিও থেকে লোন নিয়ে সৌদিতে হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। পরে সাগর সেখানে গিয়ে কাজে যোগ দেয়। তাদের উপার্জনের ওপরই পরিবার নির্ভরশীল ছিল। তারা যেন তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পেতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এর আগে গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে ওমরাহ হজ শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মোজাম্মেল মৃধা ও সাগর জোমাদ্দার নিহত হন। তাঁরা সৌদি আরবের আলকাছিমের উনাইয়া নামক স্থানে ব্যবসা করতেন। ওমরাহ হজ পালনের জন্য মক্কায় যান। ওমরা হজ পালন শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে তাঁদের বহন করা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পাথরের পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁরা মারা যান।