শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি:-
শৈশাব হতে জামাল গাজী হত দরিদ্র পরিবারে অভাবের ভিতর মানুষ। কিশোর বয়সে লেখা পড়া শিখতে না পেরে ৯ম শ্রেনী পড়া রোকেয়া নামক এক কিশোরীকে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নের রেজাকপুর গ্রামের ভ্যান চালক জামাল গাজী।স্বপ্ন স্ত্রী রোকেয়াকে শিক্ষার শেষ পর্যন্ত পড়াবে সে।আকাশ ছুঁতে চায় স্ত্রী রোকেয়াকে নিয়ে। ভ্যানে সবার মটর থাকলেও জামাল গাজী টাকার অভাবে পায়ে ভ্যান চালান। বুজতে শিখে ভ্যান চালনা ছাড়া অন্য কিছু করতে পারেন না জামাল,লেখা পড়া অন্যদের করতে দেখেছেন,কিন্তু নিজে করতে পারেননি।কিন্তু মনের ভিতর একটি স্বপ্ন ছিল সেটি ভালবাসার মানুষটিকে নিয়ে।প্রসঙ্গত জামাল গাজী পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নের নাছিরপুর গ্রামের বিধবা রশিদার বেগমের ছোট মেয়ে রোকেয়াকে ৯ম শ্রেণীতে পড়া কালীন সময় বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসেন।রোকেয়া তার স্বামী জামালকে বলে আমাকে স্কুলে যেতে দাও তোমার স্বপ্ন আমি পূরণ করবো।সেখান থেকে ভ্যান চালক জামাল গাজীর সংসার সামলিয়ে রোকেয়া স্কুলে পড়াশুনা করতে শুরু করলো। আজ রোকেয়া স্কুল কলেজের গন্ডি পেরিয়ে এক সন্তানের জননী রোকেয়া এখন বি,এ পরিক্ষার্থী।রোকেয়া এলাকার গরিব ঘরের ছোট বাচ্ছাদের স্বামী জামাল গাজীর বাড়িতে সকাল বিকাল পাঠদান করছেন। এ বিষয় জামাল গাজী বলেন আমার পিতা ঈমান আলী গাজী খুবই অভাবী মানুষ ছিলেন।আমার ইচ্ছা থাকলেও স্কুলে যেতে পারেনী।আমি যখন ভ্যানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতাম তখন মনে মনে ভাবতাম আমি তো পারলাম না,আমার বিয়ে হলে স্ত্রী কে পড়াশুনা করাবো। তিনি আরও বলেন আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে,এখন রোকেয়ার একটা কাজ হলে আর ভ্যান চালাইতাম না।এ বিষয় কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা ও কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, অনেকে আমরা সিনেমা বা নাটকে দেখি স্বপ্ন জয়ের গল্প কিন্তু জামাল রোকেয়া দম্পতি আমাদের এলাকার বাস্তব দৃষ্টান্ত।