স্বামী বেঁচে থাকতেই পাচ্ছেন বিধবা ভাতা,,,
সোহেল রানা,
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলাধীন চাকিরপশার ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ হায়দার আলী স্বামী পরিত্যক্ত দেখিয়ে সুফিয়া বেগম কে পাইয়ে দিচ্ছেন বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতা। একইভাবে ভাতা পাচ্ছেন তার দুইজন মনগড়া পছন্দের প্রার্থী মোঃ আব্দুল আউয়াল এর দুই স্ত্রী মোছাঃ সুফিয়া বেগম ও মরিয়ম বেগম।
এছাড়া গ্রামের অসহায় মানুষদের ঠকিয়ে এভাবেই সরকারের ভাতাসেবা নিয়ে দুর্নীতি করছেন মেম্বার হায়দার আলী। অভিযোগ এসেছে,একই পরিবারের তিনজন ব্যক্তি ভাতা সুবিধা ভোগ করছেন তারাও হায়দার আলী'র পছন্দের প্রার্থী। অর্থাৎ তার পছন্দের মানুষ হলেই মিলবে ভাতা কার্ড।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সোহেল রানা অভিযোগ করেন,ওয়ার্ডে এমন অনেকে আছেন ভাতা পাবার যোগ্য কিন্তু পাচ্ছেন না। এমনও অভিযোগ রয়েছে,এক বছরের টাকা দেওয়ার শর্তে কিছু লোককে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা কার্ড দিয়েছেন মেম্বার হায়দার আলী।
অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে অভিযুক্ত হায়দার আলী জানান, ওয়ার্ডের সব প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ভাতা কার্ড দেওয়ার পর পছন্দের প্রার্থী হিসেবে তা গ্রহণ করেছেন।
মোছাঃ সুফিয়া বেগম ও মরিয়ম বেগম উভয় স্বামী যথাক্রমে মোঃ আব্দুল আউয়ালকে জীবিত থেকেও মৃত ও স্বামী নিগৃহীতা দেখানো প্রসঙ্গে ভাতা কীভাবে পাচ্ছেন তারা।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা
মোঃ মশিউর রহমান জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৭ জনের একটি যাচাই ও বাছাই কমিটির মাধ্যমে ভাতা কার্ডের জন্য নাম চূড়ান্ত হয়। কমিটিতে ১২ জন মেম্বার ছাড়াও ইউএনওর প্রতিনিধি,উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধি,সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রতিনিধি এবং পরিষদের সচিব রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমিটিতে সভাপতি হিসেবে থাকেন।
সমাজসেবা কার্যালয় সূত্র জানায়,রাজারহাট উপজেলায় মোট ১৮,৮৩১ জন ভাতা সুবিধা ভোগ করছেন। এরমধ্যে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন ১০,৪৭৩ জন,বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা পাচ্ছেন ৪,৯৯৫ জন,প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন ৩,২৯৭ জন।