শহিদুল ইসলাম। মনপুরা প্রতিনিধি।
সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সকাল ১০টার দিকে অন্ধকার হতে শুরু করে। সাড়ে ১০টার দিকে রাতের মতো অন্ধকার হয়ে বজ্রপাতের শব্দ আসতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া শুরু হয়। হঠাৎ আবহাওয়ার প্রতিকূল অবস্থা শুরু হওয়ায় মানুষ দিশেহারা হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। দোকান-পাটে, বাজারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মানুষ।
এতে অন্তত ৬৬০টি বাড়িঘর পুরোপুরি ও প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যনরা।
এছাড়াও ঝড়ের কবলে পড়ে ৮ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এদিকে অসংখ্য গবাদি পশু নিখোঁজের খবর জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার রামনেওয়াজ এলাকার সাইফুল পাটওয়ারী বলেন, সকাল থেকেই আকাশের অবস্থা ভালো ছিল না। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন কিন্তু গরম পড়ছিল অনেক। সকাল ১০টার দিকেই অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। এরপর রাতের মতোই অন্ধকার হয়ে বৃষ্টি নামতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আকাশে বিদ্যুৎ চমকানো ও বজ্রপাতের শব্দ আসতে শুরু করে। এতো বিকট শব্দ, যাতে ছেলে মেয়েরাও ভয়ে চুপ করে বসেছিল। পরক্ষণেই প্রচণ্ড বেগে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এতে কৃষিক্ষেত ও গাছপালার অনেক ক্ষতি হয়।
তুলাতলী এলাকার শ্রমিক ইব্রাহিম বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় আকাশে মেঘ দেখেও জীবিকার সন্ধানে কাজে বের হয়েছি। কিছুক্ষণ কাজ করার পরে এমনভাবে অন্ধকার হয়ে আসছে, তাতে মনে হয়েছে রাত ৮টা বাজে। তখন সাড়ে ১০ টার দিকে কাজ বন্ধ করে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছি।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই মনপুরার দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে অন্ধকার হয়েই ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি, বিদ্যুৎ চমকানো ও বজ্রপাত শুরু হয়। এতে ঘরবাড়ি সহ গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি, বনজ ও ফলদ বৃক্ষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সিপিপির ওয়্যারলেস অপারেটর শহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো,আমরা সেখানে থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে এনেছি। এছাড়াও রাস্তায় ব্যাপক গাছ ভেঙে পড়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়,পরে সিপিপি সেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মিরা রাস্তা থেকে এসব গাছ অপসারন করে।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড়ে মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা এখনও সম্ভব হয়নি।