হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ব্যাবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ব্যাবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ।
মোঃ মোবাশ্বির হোসেন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নবীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র চলছে নিবন্ধিত ডাক্তারের ব্যাবস্তাপত্র ছাড়াই এন্টিভাইটিক ঔষধের রমরমা ব্যাবসা নিবন্ধন ডাক্তার এর ব্যাবস্তাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক ঔষদ বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছিল হাইকোর্ট।
কিন্তুু বাস্তব চিত্র ঠিক তার বিপরীত। মানুষ অসুখ হলে চিকিৎসকের কাছে যায়। চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস শুনে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওষুধের ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশন দেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসক যে ওষুধের নাম লিখে দেন, ওই গুলোই বিক্রেতা বা সরবরাহ করা উচিত। এ নিয়ম না মেনে অনেকে রোগীর চাহিদা অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন ছাড়া ইচ্ছেমতো ওষুধ বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা জনাব ডা. আব্দুস সামাদ জানান এ্যান্টিবায়োটিক এর পরিমান মতো সেবন না হলে সেবন কারির জন্য এটি ক্ষতি কারক হতে পারে। এবং অতিরিক্ত পরিমানে সেবনের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এসব বিষয়ে সচেতন করার জন্য সমগ্র উপজেলায় প্রচারনা চলছে। এবং অসাধু বিক্রেতা এর বিরুদ্বে অভিযান চলমার রয়েছে এবং অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের চিকিৎসা বিদ্যায় মেডিকেল শিক্ষায় শিক্ষিত চিকিৎসক যেমন আছেন, তেমনি আছেন অর্ধশিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত চিকিৎসক। আবার অনেক ওষুধ বিক্রেতাও চিকিৎসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ বিক্রি করেন। নিজেরাও চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর ফলে ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি ফুটপাতেও ওষুধ বিক্রি হয় ফেরি করে।
সাধারণ ওষুধ থেকে শুরু করে অ্যান্টিবায়োটিক ও সহজলভ্য সেখানে। অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্সের প্রকোপও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে।
বিষয়টি প্রসাসন এর নজরতালিকা বাহিরে থাকায় বিক্রি হচ্ছে অনেক নিম্ন মানের ঔষধ রোগ আর ওষুধের সঙ্গে মানুষের বাঁচা-মরার সম্পর্ক। যেকোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা জটিলতা থাকতে পারে। যা একজন চিকিৎসকই বলতে পারবেন।
চিকিৎসকের নির্দেশনা ছাড়া ওষুধ খেয়ে রোগীদের রোগ ভালো না হয়ে বরং তা আরও জটিল হতে পারে। এমনকি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির ঘটনাও ঘটছে। এভাবে অবাধে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বিক্রি অব্যাহত থাকলে দেশের জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মধ্যে পড়বে বলে মনে করেন বিশেষগ্য ডাক্তাররা।
এমন কি এক রোগের ওষুধ খেতে গিয়ে অন্য আরেকটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও অস্বাভাবিক নয়। নিয়ম মাফিক ওষুধ না খেলে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অনেক সময় দেখা যায়, ভুল ওষুধ সেবন করে ভুক্তভোগীর কিডনি, হৃৎপিণ্ড, এমন কি অন্য যেকোনো অঙ্গহানির মতো জটিল সমস্যাও হতে পারে। ওষুধ বিক্রেতা আর ক্রেতা, দুই পক্ষেরই উপলব্ধি করা দরকার যে ওষুধ কোনো ভোগ্যপণ্য নয়। বরং বলা যায়, ওষুধ একধরনের রাসায়নিক দ্রব্য, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে যেমন জীবন বাঁচাতে পারে, তেমনি অপব্যবহারে মারাত্মক বিশেষ পরিণত হতে পারে।
এমন কি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া যাতে কোনো ওষুধ বিক্রি না করা হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত । কিছু সাধারণ ওষুধ পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রেসক্রিপশন-বহির্ভূতভাবে ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। এ-জাতীয় ওষুধগুলোকে বলে ‘ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ’। শুধু ওই জাতীয় ওষুধগুলো বিক্রেতারা বিক্রি করতে পারেন।
জনগণকেও অবশ্যই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে যেন তাঁরা অপচিকিৎসাকারীদের কাছে ছুটে না যান। শুধু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে ওষুধ কিনে সেবন করবেন না। শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি এবং গর্ভাবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ আরও জরুরি।
মোঃ মোবাশ্বির হোসেন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নবীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র চলছে নিবন্ধিত ডাক্তারের ব্যাবস্তাপত্র ছাড়াই এন্টিভাইটিক ঔষধের রমরমা ব্যাবসা নিবন্ধন ডাক্তার এর ব্যাবস্তাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক ঔষদ বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছিল হাইকোর্ট।
কিন্তুু বাস্তব চিত্র ঠিক তার বিপরীত। মানুষ অসুখ হলে চিকিৎসকের কাছে যায়। চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস শুনে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওষুধের ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশন দেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসক যে ওষুধের নাম লিখে দেন, ওই গুলোই বিক্রেতা বা সরবরাহ করা উচিত। এ নিয়ম না মেনে অনেকে রোগীর চাহিদা অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন ছাড়া ইচ্ছেমতো ওষুধ বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা জনাব ডা. আব্দুস সামাদ জানান এ্যান্টিবায়োটিক এর পরিমান মতো সেবন না হলে সেবন কারির জন্য এটি ক্ষতি কারক হতে পারে। এবং অতিরিক্ত পরিমানে সেবনের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এসব বিষয়ে সচেতন করার জন্য সমগ্র উপজেলায় প্রচারনা চলছে। এবং অসাধু বিক্রেতা এর বিরুদ্বে অভিযান চলমার রয়েছে এবং অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের চিকিৎসা বিদ্যায় মেডিকেল শিক্ষায় শিক্ষিত চিকিৎসক যেমন আছেন, তেমনি আছেন অর্ধশিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত চিকিৎসক। আবার অনেক ওষুধ বিক্রেতাও চিকিৎসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ বিক্রি করেন। নিজেরাও চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর ফলে ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি ফুটপাতেও ওষুধ বিক্রি হয় ফেরি করে।
সাধারণ ওষুধ থেকে শুরু করে অ্যান্টিবায়োটিক ও সহজলভ্য সেখানে। অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্সের প্রকোপও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে।
বিষয়টি প্রসাসন এর নজরতালিকা বাহিরে থাকায় বিক্রি হচ্ছে অনেক নিম্ন মানের ঔষধ রোগ আর ওষুধের সঙ্গে মানুষের বাঁচা-মরার সম্পর্ক। যেকোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা জটিলতা থাকতে পারে। যা একজন চিকিৎসকই বলতে পারবেন।
চিকিৎসকের নির্দেশনা ছাড়া ওষুধ খেয়ে রোগীদের রোগ ভালো না হয়ে বরং তা আরও জটিল হতে পারে। এমনকি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির ঘটনাও ঘটছে। এভাবে অবাধে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বিক্রি অব্যাহত থাকলে দেশের জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মধ্যে পড়বে বলে মনে করেন বিশেষগ্য ডাক্তাররা।
এমন কি এক রোগের ওষুধ খেতে গিয়ে অন্য আরেকটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও অস্বাভাবিক নয়। নিয়ম মাফিক ওষুধ না খেলে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অনেক সময় দেখা যায়, ভুল ওষুধ সেবন করে ভুক্তভোগীর কিডনি, হৃৎপিণ্ড, এমন কি অন্য যেকোনো অঙ্গহানির মতো জটিল সমস্যাও হতে পারে। ওষুধ বিক্রেতা আর ক্রেতা, দুই পক্ষেরই উপলব্ধি করা দরকার যে ওষুধ কোনো ভোগ্যপণ্য নয়। বরং বলা যায়, ওষুধ একধরনের রাসায়নিক দ্রব্য, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে যেমন জীবন বাঁচাতে পারে, তেমনি অপব্যবহারে মারাত্মক বিশেষ পরিণত হতে পারে।
এমন কি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া যাতে কোনো ওষুধ বিক্রি না করা হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত । কিছু সাধারণ ওষুধ পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রেসক্রিপশন-বহির্ভূতভাবে ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। এ-জাতীয় ওষুধগুলোকে বলে ‘ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ’। শুধু ওই জাতীয় ওষুধগুলো বিক্রেতারা বিক্রি করতে পারেন।
জনগণকেও অবশ্যই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে যেন তাঁরা অপচিকিৎসাকারীদের কাছে ছুটে না যান। শুধু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে ওষুধ কিনে সেবন করবেন না। শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি এবং গর্ভাবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ আরও জরুরি।