হবিগঞ্জে ৩ মেয়র প্রার্থী ও ১ কাউন্সিলরকে জরিমানা
এস এম মোবাশ্বির হোসেন হবিগঞ্জঃ হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারে আচরণবিধি মানছেন না অনেক মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী। তাদের কেউ কেউ প্রচারের জন্য পত্রিকা ও ফেসবুকে লাইভ ও রঙিন পোস্টার দিয়ে প্রচারণা করছেন।
আচরণ বিধিমালায় বলা আছে, ‘কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে তিনি অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর কোনো রাজনৈতিক দল অথবা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার করলে অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
আচরণ বিধিতে এমন নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না অনেকেই। এ অবস্থায় বড় দলের প্রার্থীরা এমনকি অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী মিছিল ও শোডাউন করে তা ফেসবুকে প্রচার করছেন। কোনো স্থানে প্রার্থী নিজেই আবার কোনো কোনো স্থানে প্রার্থীর পক্ষে তার অনুসারীরা এসব কাজ করছেন। বিশেষ করে, মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে তার অনুসারীরাই বেশি করে থাকেন বলে সরেজমিনে দেখা গেছে।
শুক্রবার রাতে নির্বাচনী আচরণবিধি না মেনে ফেসবুকে প্রচার মিছিলের লাইভ ও রঙিন পোস্টার বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করার দায়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর এজেন্টকে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী টিপু আহমেদকেও জরিমানা করা হয়েছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. এনামুল হক সেলিম এর নির্বাচনী এজেন্টকে ১০,০০০ টাকা এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী মো. মিজানুর রহমান এর নির্বাচনী এজেন্টকে ১৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন করে মিছিল বের করায় আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম এর নির্বাচনী এজেন্টকে ৫০০০ টাকা এবং ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী টিপু আহমেদ এর নির্বাচনী এজেন্টকে ৪,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উক্ত মোবাইল কোর্টসমূহ পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন ও সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহীম। এসময় নির্বাচনী এজেন্টগণ আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন।
Leave a Reply