সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ২লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী আছমা আক্তার(২০) কে বিষপানে হত্যার চেষ্টা। আদালতে অভিযোগ।
জানা-যায়,উপজেলার ১নং বাংলাবাজার ইউনিয়নের মধ্য কলাউড়া গ্রামের নজির আহমদের পুত্র নূর মোহাম্মদ দু,বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের ডালিয়া গ্রামের আব্দুল মমিন মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন। ছেলে মেয়ে উভয়ের পছন্দে ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে হয় তাদের।
বিয়ের ক,দিন না যেতেই ২লক্ষ টাকা যৌতুক ও ফার্নিচার আনতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে নূর মোহাম্মদ ও তার মা হালিমা আক্তার।
মেয়ের কথা চিন্তাকরে মেয়ের বাবা মমিন মিয়া আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় বসতির কিছু অংশ বিক্রি করে ফার্নিচার দেয়। ধারদেনা,ঋণ করে, প্রতিনিয়তো যৌতুক দিয়ে যাওয়ার পরে নূর মোহাম্মদ তার স্ত্রীকে প্রায় নির্যাতন করেন।
তার পর ও থামেনি স্বামী নুর মোহাম্মদের প্রাষবিকতা। ক্রমাগত একের পর এক যৌতুক দাবী করে।
গত১৫/৮/২১ সৌদি আরব যাবে বলে নূর মোহাম্মদ তার স্ত্রী আছমা আক্তারকে বাবার বাড়ি পাঠায় দুই লক্ষ টাকা নিয়ে আসার জন্য। এতে স্ত্রী আছমা আক্তার নারাজ হলে নূর মোহাম্মদ ও তার মা,এবং তার দাদা আছমা আক্তারে'র উপর চওড়া হয়ে দু'দিন অনাহারে রেখে ক্রমাগত নির্যাতন চালিয়ে যায়। নির্যাতনের রোষানলে পরে আছমা আক্তার অজ্ঞান হয়েগেলে এ সুযোগে পানির সাথে বিষ মিশিয়ে, বিষ পান করিয়ে দেয় তার স্বামী নূর মোহাম্মদ তার মা হালিমা আক্তার ও দাদা আব্দুল গফুর। জ্ঞান ফিরলেই আছমা বুকে জ্বালাপুড়া করে বলে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে স্থানীয় ডাক্তার রফিকুল ইসলামের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার চিকিৎসায় ব্যর্থ হলে সিলেট উসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। চারদিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে বাবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয় আছমা আক্তার কে। আছমার পিতা আব্দুল মমিন আইনের কাছে দারস্ত হতে চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় স্বামী নুর মোহাম্মদে'র পরিবার ও স্থানীয় একটি মহল।
হুমকির মুখে কোন উপায়ন্তর খুঁজে না পেয়ে ভুক্তভোগী আছমা আক্তার ও তার পিতা আব্দুল মমিন আদালতের দ্বারস্থ হলে আছমা আক্তার'কে বাদী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১(ক) / ৩০ ধারা মামলা দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি দোয়ারাবাজার থানায় পাঠালে ভুক্তভোগীর পিতা আব্দুল মমিন নিজে গিয়ে ওসি দেবদুলাল ধর এর নিকট জবানবন্দি দিয়ে রেকর্ড করে আসেন।
এদিকে অভিযোক্ত আসামী নূর মোহাম্মদ ও তার দাদা আব্দুল গফুর মামলার বিষয়টি জানতে পারায় আছমা আক্তার ও তার পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন, ভয় দেখানো ও হেরেসমেন্ট করার জন্য ৩৪ ধরা পালটা একটি মামলা ও দায়ের করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, আদালতের নোটিশ পেয়েছি। মামলাটি তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।