হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধি:
শোকাবহ আগষ্ট মাসে ভয়াল ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের স্মরণে ইউকেবিডি টিভির উদ্দ্যোগে গত ২৩ শে আগষ্ট সোমবার ইউকে সময় বিকাল ৫টায়
“শোকার্ত হৃদয়ের শ্রদ্ধা” শীরনামে আন্তর্জাতিক এক ভার্চ্যুয়ালি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
ইউকেবিডি টিভির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ইউকেবিডি টিভির ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক শেখ নুরুল ইসলাম এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, ও বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ,
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এমএ সালাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী,
ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগ নিউপোট শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ শাফি কাদির, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তি শিল্পী শান্তুনু মিত্র ও আবৃত্তি শিল্পী
তমালি ভট্টাচার্য এবং সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী বনানী পোদ্ধার,
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগষ্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন বলে উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, বলেন প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া বিরল। একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়াবহ সেই হামলা বাঙালি জাতি কোনোদিনও ভুলবে না।টার্গেট ছিল এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ নেতৃত্বশূন্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতেই ঘাতকরা চালায় এই দানবীয় হত্যাযজ্ঞ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, ২১ আগস্টের নৃশংস গ্রেণেড বোমা হামলায় নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। আল্লাহর মেহেরবানীতে তিনি বেঁচে যান। আমরা হারাই বেগম আইভি রহমানসহ অনেককে যারা দেশের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই গ্রেনেড হামলা যারা করেছিলেন, তাদের প্রধান তারেক রহমান এখনও জীবিত, শাস্তির বাইরে, লন্ডনে পালিয়ে আছেন। বিভিন্ন সময় তাকে দেখা যায় তাদের বিএনপির ব্যানারে বক্তব্য বিবৃতি দেন। কিছু মিথ্যা কথা ছাড়া তার কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নেই’। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন কামনা করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. নুরুন্নবী, বলেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়া পরিবারই তখন ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান এ দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেন এবং খালেদা জিয়া তা অব্যাহত রাখে। ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তার পুত্র তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছে। এদেশে ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিএনপি প্রমাণ করলো তাদের রাজনীতি প্রতিহিংসার রাজনীতি। প্রতিহিংসার রাজনীতির ধারক ও বাহক হচ্ছে বিএনপি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সাম্প্রদায়িক শক্তির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষঠাতা সাধারন সম্পাদক এমএ সালাম, বলেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়া পরিবারই তখন ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান এ দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেন এবং খালেদা জিয়া তা অব্যাহত রাখে। ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তার পুত্র তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, বলেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। আল্লাহর মেহেরবানীতে তিনি বেঁচে যান। আমরা হারাই বেগম আইভি রহমানসহ অনেককে যারা দেশের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই গ্রেনেড হামলা যারা করেছিলেন, তাদের প্রধান তারেক রহমান এখনও জীবিত, শাস্তির বাইরে, লন্ডনে পালিয়ে আছেন। বিভিন্ন সময় তাকে দেখা যায় তাদের বিএনপির ব্যানারে বক্তব্য বিবৃতি দেন। কিছু মিথ্যা কথা ছাড়া তার কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নেই’।
সভাপতির বক্তব্যে ইউকেবিডি টিভির চেয়ারম্যান ও ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মকিস মনসুর বলেন রাস্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে,তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে সভ্য দুনিয়ার অকল্পনীয় নারকীয় হত্যাকান্ড ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট। হিংস্র দানবীয় নরপশুরা আক্রান্ত করে মানবতাকে। জীবন্ত বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে।টার্গেট ছিল এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর কন্যারত্ন মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ নেতৃত্বশূন্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতেই ঘাতকরা চালায় এই দানবীয় হত্যাযজ্ঞ।তিনি ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে সভার সসমাপ্তি ঘোষণা করেন।। অনুষ্ঠানের সাবিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইউকেবিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর খায়রুল আলম লিংকন ও পোগ্রাম ডিরেক্টর হেলেন ইসলাম সহ অন্যান্য ডিরেক্টরবৃন্দ।। উল্লেখ্য যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যা করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা করা হয়। নিজেদের জীবন দিয়ে, মানব-ঢাল তৈরি করে রক্ষা করা হয় বাংলাদেশের প্রাণভোমরা শেখ হাসিনাকে; কিন্তু আইভি রহমান সহ আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন।