বাগেরহাট প্রতিনিধি:
পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের হামলাকারীরা এক ও অভিন্ন শক্তি। তাদের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এদের মূল লক্ষ্য দেশের স্বাধীনতা হত্যা,গণতন্ত্র হত্যা করা। ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ভয়াবহ স্মৃতি জাতি আজও ভুলতে পারেনি। ভয়াল সেই হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন, আহত হন পাঁচ শতাধিকেরও বেশি লোকজন। আহতদের অনেকেই এখনো তাদের শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার আর দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টায় ২১ আগষ্ট জঙ্গিবাদী গ্রেনেড হামলায় বেগম আইভী রহমানসহ শহীদ ২৪ নেতাকর্মী স্মরণে মোংলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠণের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২১ আগষ্ট) বেলা ১১টায় আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র ও মোংলা পৌর আ'লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান। প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা ও পৌর আ'লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মিরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মোংলা পৌর আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উৎপল মন্ডল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইস্রাফিল হাওলাদার, পৌর যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেন, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর আলম বাচ্চু, মোংলা পৌর ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহারুখ বাপ্পি , পৌর ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি পারভেজ খান প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। এই হামলার পেছনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। তার হাওয়া ভবন থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সৌভাগ্যবশতঃ সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে যান। আমরা ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত সব খুনিদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি করছি।
আলোচোনা শেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়।