বায়জিদ হোসেন, মোংলা:
অবশেষে ১ মাস ১২ দিন পর মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া এলাকায় বিদেশী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই বাল্কহেড এম,বি ফারদিন-০১ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা থেকে বাল্কহেডটি উদ্ধার করে এনে সোমবার রাতে পশুর চ্যানেলের কানাইনগর এলাকায় নদীর চরে রেখেছেন উত্তোলনকারী ডুবরী দলের ভাই ভাই স্যালভেজ। এদিকে বাল্কহেডটি উদ্ধার/উত্তোলন করা সম্ভব হলেও এখনও পর্যন্ত নিঁখোজ রয়েছেন ওই বাল্কহেডের সুকানী মোঃ মহিউদ্দিন (৬০)। মহিউদ্দিনের বাড়ী পিরোজপুরের স্বরুকাঠী উপজেলায়।
নারায়নগঞ্জের ভাই ভাই স্যালভেজ মালিক মোঃ আঃ সাত্তার জানান, হাড়বাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাংকোরেজ এলাকায় ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উত্তোলনের কাজ পাই আমরা। এরপর প্রথমে ডুবন্ত বাল্কহেডটি থেকে কয়লা অপসারণ করা হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর সমুদয় কয়লা অপসারণ শেষ হয়। তারপর বাল্কহেডেটি উঠানোর কাজ শুরু করা হয়। সেখান থেকে বাল্কহেড উঠিয়ে দুইটি নৌযানের সহায়তা ভাসিয়ে এনে সোমবার রাতে মোংলার কানাইনগর এলাকায় পশুর নদীর চরে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথমে শুনেছি বাল্কহেডটি ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এখন উঠিয়ে দেখি শুধু ধাক্কা নয়, ধাক্কা দিয়ে বিদেশী জাহাজটি এটির উপর দিয়ে চলে গেছে। ফলে একাধিক জায়গায় ফেটে, ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে গেছে বাল্কহেডটি। এতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মালিক আগে জানলে অনেক টাকা খরচ করে তুলতো কিনা সন্দেহ।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ এলাকার এম,বি ফারদিন-০১ এর মালিক মোঃ ফজলুল হক খোকন বলেন, আমার এই বাল্কহেডটি অন্য আরেকজনের কাছে ভাড়া দেয়া ছিলো। তার কাছে থাকা অবস্থাতেই মোংলা বন্দরে দুর্ঘটনার শিকার হয়। যারা উঠিয়েছে তারা যা বললো তাতে ওটা দিয়ে আর কোন কাজ হবেনা, কেটে কেজি দরে বিক্রি ছাড়া।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর রাতে প্রায় সাড়ে ৬শ মেঃ টন কয়লা বোঝাই বাল্কহেড এম,বি ফারদিন-০১ বিদেশী একটি জাহাজের ধাক্কায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাংকোরেজ এলাকায় ডুবে যায়। দুর্ঘটনাকালে ওই বাল্কহেডের ২ জন ষ্টাফ জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ হন বাকী ৫ জন। নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের লাশ বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার হলেও এখনও নিঁখোজ রয়েছেন বাল্কহেডের সুকানী মহিউদ্দিন।