মোঃ নজরুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার
যশোর শার্শা থানাধীন বাগআঁচড়া ইউনিয়নের বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামে ১৩ বছরের নাবালিকা কিশোরীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে গত ২৪শে জুলাই শনিবার রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কিশোরী পার্শ্ববর্তী পরশীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে ঐ তিন যুবক আসামি ১ মোঃ সাগর (১৮) আটক পিতা আক্তারুল, ২ সুমন (১৮) শফিকুল ইসলাম (কলু) উভয় সনাতনকাটি শার্শা যশোর, ৩ নাহিদ পিতা (২৫) রেজাউল সর্দার,ধানঘুরা কলারোয়া সাতক্ষীরা, আসামিরা অন্ধকারে পথ আটকে মুখ চেপে ধরে টেনে হেঁচড়ে পুকুর পাড়ের জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ শেষে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে মারা চেষ্টা রত অবস্থায় কিশোরীর বাবা আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুঁজি ও নাম ধরে ডাকতে থাকলে ধর্ষণকারীরা নাগ পর্যন্ত পানিতে ডুবিয়ে রেখে পালিয়ে যায় কিশোরীর পিতা গরীব ভ্যান চালক ও চাচাতো ভাই সুমন আহত অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করে। মেয়েটি ঘটনার বর্ণনা দিলে জানাজানির পরে একটি মহল ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করলে গতকাল ২৬শে জুলাই সনাতনকাটি গ্রামের পাড়ার ভিতরে একটি রুমের ভিতর তালা বদ্ধ ঘরের ভিতরে মেয়ে পক্ষকে অর্থের প্রলোভন দেখানো হলে মেয়েটির বাবা জঘন্য ন্যক্কার জনক ঘটনার সুবিচার দাবি করলে গ্রাম্য সালিশি আয়োজন কারীরা চড়াও হয়। শালিস বিলম্ব করার এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে জেনে ওই কুচক্রী মহল টি সটকে পড়ে
ঘটনাস্থলে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপস্থিত হলে গ্রাম্য সালিশ কারিরা পালিয়ে গেলে পুলিশ আসামি সাগরকে আটক করে।
এ ঘটনায় শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বদরুল আলম জানান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সাগর
১৮ স্বীকার করেছে তারা তিনজন মিলে এ অপকর্ম লিপ্ত হয়েছিল বাকি ২ আসামি আটকের চেষ্টা চলছে, আজ মঙ্গলবার মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।