গোয়াইনঘাটের অপহরণের শিশুকে দিয়ে দেহব্যবসা করানোর দায়ে আটক ৩।
সিলেট ব্যুরোঃ
সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে ৯ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর তাকে দিয়ে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
পাশাপাশি অপহরণের প্রায় ১০ মাস পর শিশুটিকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট ও বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট অপরাধিদের গ্রেফতার করে গোয়াইনঘাট থানার সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম খান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোয়াইনঘাটের নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের কচুয়ার পার গ্রামের ৯ বছর বয়সী শিশুকন্যা নিখোঁজ হয় গত ঈদুল আজহার ৩ দিন আগে।
শিশুর পিতা গোয়াইনঘাট থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি ও পরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল গ্রামের বতাই মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করেন।
অভিযোগ ও জিডির সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থানাধীন সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম খান শিশুকন্যাটি উদ্ধারে কাজ শুরু করেন।
জানা গেছে, শিশুটি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হালিমা বেগম নামক এক দেহব্যবসায়ীর হাতে পড়ে। তিনি শাহীঈদগাহস্থ অনামিকা ৬২ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। হালিমা শিশুটিকে তুলে দেন বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলী ছেলে জসিম উদ্দিনের হাতে।
জসিম শিশুটিকে নিয়ে নগরীর শাহজালাল উপশহরের গুলবাহার হোটেলের ৫ম তলার ৫০৫ নম্বর কক্ষে ধর্ষণ করে। সেদিন কৌশলে শিশুটি তার পিতার মোবাইলে ফোন করে।
সেই সূত্রে সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম খান গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত-রাত থেকে সিলেট শহর ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিনকে আটক করেন।
তার দেয়া তত্ত্বের ভিত্তিতে সিলেট শহরের উপশহরস্থ গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার জকিগঞ্জ উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ওয়াজিদ আলীকে আটক করা হয়।
জসিম ও ওয়াজেদ আলীকে আটকের পর দেহব্যবসায়ী হালিমা বেগমের সাথে মোবাইলে শিশু কন্যার জন্য ৫ হাজার টাকায় চুক্তি করা হয়। হালিমা শিশুটিকে নিয়ে হোটেল গুলবাহারে যান। তখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার ও শিশুটিকে উদ্ধার করে।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. আব্দুল আহাদ বলেন, ৯ বছরের একটি শিশু নিখোঁজ হয়েছিল।
সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো.শফিকুল ইসলাম খান শিশুটিকে উদ্ধার করেছেন।
জড়িতদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভিকটিমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply