শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি :-
পাইকগাছায় কিংফিসার পরিবহনে ডাকাতির ঘটনায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল। পালাতক ১ লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার। উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নে কার্তিকের মোড়ে রাত ২ টার দিকে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পাইকগাছার উদেশ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিংফিসার পরিবহন, ট্রাক, একটি ইজিবাইক ডাকাতি হয়। ডাকাতরা যাত্রিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা সহ মোবাইল লুটে নেয়। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ট্রাক ড্রাইভার বাদী হয়ে ডাকাতি মামলা করে। যার নং- ১১। মামলার তদন্তকরী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক তাকবির হোসেন জানান, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাতির অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে এবং ১জন পলাতক রয়েছে। অধিক তদন্ত করে ১৫ জনের মধ্যেহতে ৪ জনকে ফাইনাল দেয়া হয়েছে। এ মামলার লুন্ঠিত ২ টি মোবাইল গোপালপুরের সামছুর গাজির ছেলে মিজানুর রহমান ও চাঁদখালী ইউনিয়নের ফতেপুরের আব্দুল খলিল গাজীর ছেলে তাকবির হোসেনের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির সময় ফেলে যাওয়া জুতার আঙ্গুলের ছাপ আইটি ফরেনসিক ও সিআইডি ফরেনসিক দ্বারা প্রমানিত হয়েছে। অভিযুক্তরা হলো, তালা থানার চাঁদকাটির শওকত মোল্ল্যার ছেলে আশরাফুল মোল্ল্যা (৩৬), উপজেলার রাড়ুলীর মকবুল গাজীর ছেলে বাপ্পি (২১), ফতেপুরের খলিল গাজীর ছেলে তাকবীর (২৩), গোপালপুরের আকছেদ গাজীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৯), রাড়ুলীর হাকিম গাজীর ছেলে ইমরান গাজী (২১), গদাইপুরের মৃত্ তাছের মোড়লের ছেলে আলামীন (৩৫), গোপালপুরের মৃত সামছুর গাজীর ছেলে মিজান গাজী (৪৮), ডুমুরিয়া থানার চাকুন্দিয়ার শওকত গাজীর ছেলে শাহিনুর (৩৭), মৌখালী কামরুল সরদারের ছেলে জীবন সরদার (২৮), পলাতক তানভীর হোসেন শাওন। গদাইপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের সীমান্তে পরিবহন ডাকাতি বিষয় থানার ওসির সাথে দফায় দফায় বসেছি। যাতে ডাকাতরা ধরা পড়ে সে ব্যাপারে সহযোগিতা করেছি। আমার ইউনিয়নে ১ বছরের মধ্য কয়েটি ডাকাতি হয়ে গেল। পরিবহন ডাকাতির মামলায় আসামীরা ধরা পড়ার পর আর ডাকাতি হচ্ছে না। এটি একটি বড় চক্র ছিলো। তারা ধরা পড়ায় ইউনিয়নের মানুষ খুশি। পাশাপাশি আতঙ্ক কেটে গেছে। মামলার বাদী আছাফুর রহমান জানান, এ মামলায় আমি ওসি সহ মামলার তদন্তকরী কমর্কর্তাকে ধন্যবাদ জানায়। এত অল্প দিনের মধ্যে ১১ জন চার্জসিট ভুক্ত আসামীর মধ্য ১০ জনকে আটক করতে পারার জন্য আমি ভীষন খুশি হয়েছি। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফী জানান, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মামুদ হাসান ও সহকরী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবিরের দিক নির্দেশনায় এ ডাকাতি মামলার ক্লু উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি এবং এ পরিবহ ডাকতি মামলার সাথে জড়িতরা আন্ত: জেলা ডাকাত দলের সদস্য। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চুরি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
Leave a Reply