সামাউন আলী,সিংড়া(নাটোর)
প্রতিনিধিঃ
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ০১নং সুকাশ ইউনিয়নের নঁওদা পাড়ার যুবক জিয়ারুল হকের কপাল খুলেছে অসময় তরমুজ চাষে। বাড়ির আঙিনায় মাঁচায় হলুদ ও ব্লাক বেরি তরমুজ চাষ হয়েছে। এতে দরিদ্র কৃষক বেশ লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ইতোমধ্যে বাজারে এ তরমুজের চাহিদা ও বেড়েছে।
হলুদ তরমুজের উপরিভাগ দেখতে বেশ সুন্দর। আর কাটলে ভেতরে টকটকে লাল। খেতেও বেশ মিষ্টি এবং সুস্বাদু। এই তরমুজ দেখতে প্রতিদিন আশপাশের মানুষ আসছেন। আগ্রহ ও প্রকাশ করছেন অনেকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিংড়া উপজেলার ০১ নং সুকাশ ইউনিয়নের নঁওদা পাড়া গ্রামের বেকার যুবক জিয়ারুল হক বাড়ির সামনে ১২ শতক জায়গায় গড়ে তুলেছেন তরমুজ ক্ষেত। মালচিং পদ্ধতিতে এই তরমুজ চাষ হয়েছে। মাঁচায় সবুজ পাতার মধ্যে হলুদ ও কালো হাজারো তরমুজ ঝুলছে। এলাকাবাসীরা অনেকেই তরমুজ দেখতে আসছেন।
তরমুজ চাষী জিয়ারুল হক বলেন, গত বছর এই জায়গায় বেগুন চাষাবাদ হয়েছিল। কিন্তু তেমন লাভ হয়নি। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে সেখানে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তিনি খুশি। প্রথম দফায় বাজারজাত করে ভালো দাম পেয়ে খুশি সে। প্রতি কেজি ৭০/৮০ টাকা দাম উঠেছে। অনেকে এই তরমুজ চাষ করার জন্য তাঁর সাথে যোগাযোগ করছেন।
উপ- সহকারী কৃষি অফিসার রনজু আহমেদ জানান, গত ৬ জুন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে বপন করে। মাত্র ৫০ দিনেই তরমুজ পাকতে শুরু করেছে। বর্তমানে পুরোপুরি খাওয়ার উপযোগী । উপজেলা কৃষি অফিস সার্বিকভাবে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন।
অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, অসময় তরমুজ চাষ এবারই প্রথম উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সিংড়ার সুকাশে শুরু করা হয়। বানিজ্যিকভাবে এই তরমুজ চাষে কৃষক লাভবান হবার সুযোগ রয়েছে। ৬০ দিনে এই তরমুজ খাওয়ার উপযোগী এবং দেখতে ও সুন্দর। এটা দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহ প্রকাশ করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ কৃষকের একটি লাভজনক ব্যবসা। উপজেলায় এই প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে এই ফল চাষ করা হয়।
এখন অনেকেই এই তরমুজ চাষে পরামর্শ নিতে আসছেন।
Leave a Reply