জিএম তারেক সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি
দীর্ঘ ১৮ মাস সংখ্যায় যেটা পাক্কা ৫৪৪দিন পর প্রাণ ফিরেছে বিদ্যাপীঠগুলোতে।ক্লাসরুমগুলো ভরে উঠেছে শিক্ষার্থীদের কলরবে।করোনা মহামারীর চরম বাস্তবতায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতবছরের ১৭ ই মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় তারপর করোনা ভাইরাস মহামারী যতই প্রকট আকার ধারণ করেছে স্কুল খোলার সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়েছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েকবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ মুহূর্তে সংক্রমণের হার বাড়ার জন্য সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সংক্রমণ হার ৯% এর নিচে চলে আসায় শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি এক ব্রিফিংয়ে ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে দেশের সকল প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলার সবুজ সংকেত দেন। তারই প্রেক্ষাপটে রাজধানী ঢাকার ন্যায় স্থানীয় পর্যায়েও স্কুল খোলার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যাপারটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সে লক্ষ্যে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে তাপমাত্রা মাপা যন্ত্র থার্মোকাপল, হাত ধোয়ার জায়গা ,বিশেষ কোয়ারেন্টাইন এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে জেড আকৃতিতে ক্লাসরুম গুলোতে বসার ব্যবস্থা করা হয়। সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পারুলিয়া এস এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কিছুটা ব্যতিক্রমভাবে উদযাপন করেছে নবরুপে স্কুল খোলার এই অনুষ্ঠান। ১৮ টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে এবং কেক কেটে শিক্ষার্থীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে নবরুপে আরেকবার বরণ করে নেওয়া হয়।কেকের উপরে লেখা ছিল প্রতীক্ষার ৫৪৪ দিন।১৮ টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের কারণ শুনলে অত্র বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান শাখার মেধাবী ছাত্র আবিদ হাসান তানভীর বলেন,” দীর্ঘ ১৮ মাস পর আমরা প্রাণের বিদ্যাপীঠে ফিরেছি,অনুভূতিটা সত্যিই অকল্পনীয়।১৮ টি মোমবাতি ১৮ মাসের নিস্তব্ধতা কাটিয়ে নিউ নরমাল লাইফে নতুন সূর্যোদয়ের অগ্নিশিখা হয়ে থাকবে।এজন্যই আমাদের এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ।”উক্ত সীমিত পরিধির আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং অত্র কি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য রাশিদুল ইসলাম,প্রধান শিক্ষক জনাব শেখ আবুল হোসেন,সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং এসএসসি-২১ বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা।সরেজমিনে দেখা যায় শুরুতে থার্মোকাপল দিয়ে তাপমাত্রা মেপে শিক্ষার্থীদের স্কুল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানো হয়। অতঃপর হাত স্যানিটাইজ করে শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের জেড আকৃতিতে বসিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়।
Leave a Reply