সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি মো রিওন প্রামানিক জনি
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেড়ে ছোট ভাই আরিফের এ্যালোপাতাড়ী আঘাতে বড় ভাই শহিদুল হক গুরুতর আহত হয়।
পরে তাকে ১৬ সেপ্টেম্বর রাত্রি নয়টার দিকে প্রথমে রংপুর পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য
রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্হায় ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে শহিদুল মারা যায় বলে তার পরিবারিক সূত্র নিশ্চিত করে।
বিষয়টি আরো নিশ্চিত করেন তার সহযোদ্ধা তুষার মাহমুদ।
(ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহির রাজিউন)।
নিহত শিক্ষক শহিদুল হকের দুই সন্তান রাহিয়ান (১০) ও রেদোয়ান (৭)।
উল্লেখ্য যে,
গত(১৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত্রি নয়টার দিকে ধাপের হাট টু আমবাগান রাস্তায় নিজ বাসায় এ-ঘটনা ঘটে।
স্হানীয়রা গুরুতর আহত শিক্ষক শহিদুল হক কে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সি এনজি যোগে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলো।
জানা যায় যে তার মাথায়, নাকে একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে, দাঁত ভেঙে গেছে ও বাম চোখের আঘাত গুরুতর ছিলো।
গুরুতর আহত শহিদুল হক(৩৮) অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছাত্তার মৌলভির দ্বিতীয় সন্তান।
শহিদুল হক চার ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান ও হিংগারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।মাসুদ বিল্লাহ ও আরিফ তার ছোট্ট ভাই।
স্হানীয়রা জানায় শহিদুল হক এলাকাবাসীর নিকট তিন ভাইয়ের মধ্যে সৎ, ভদ্র। বাকী দুই ভাই বিপদগামী হওয়ায় বাবা মায়ের নিকট বড় ভাই শহিদুল আস্তাভাজন হওয়াই কাল হলো তার।
তার ছোট্ট মাসুদ বিল্লাহ বিপদগামী হওয়া ধার দেনা গ্রস্হ হওয়ায় বাবা তার ভাগের অংশ বিক্রি করে দেয় শহিদুল এর নিকট।এর থেকেই আরিফ তার ভাগের অংশ বিক্রি করবে বলে এলাকাবাসী ও তার বাবাকে বলে আসছিলেন।এতে বাবা সাই না দেয়ায় বিষয়টি তে তার (শহিদুল হক) ইন্দন রয়েছে এমন সন্দেহ থেকেই আরিফ(৩০) তার উপর হামলা চালিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এ-দিকে তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী খুনি আরিফ কে আটক করে সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হস্তান্তর করেছে।
বড় ভাইয়ে উপর ছোট্ট ভাইয়ের বর্বরোচিত হামলায় নিহতের ঘটনায় নিন্দা ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি কামনা করে এলাকাবাসী।
Leave a Reply