সৈয়দ মোঃ রাসেল, স্টাফ রিপোর্টার।।
আগামী ১১ অক্টোবর পঞ্চমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। শিশির ভেজা দুর্বাঘাসের ওপর ঝড়ে পড়া বকুল ফুল কুড়ানোর সময়টাতে মাতৃবন্দনায় মিলিত হবেন মাতৃভক্ত সবাই।
ইতোমধ্যে শিল্পীদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণরূপে ফুটে ওঠেছে দৃষ্টিনন্দন অধিকাংশ প্রতিমা। সারা দেশের মতো কলাপাড়ার চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। এ কাজে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
এ নিয়ে চিংগুড়িয়া সার্বজনীন শ্রিশ্রি দূর্গামন্দিরের মৃৎশিল্পী গবিন্দ সাহা বলেন, দেবীদুর্গা আসছেন অন্ধকার আচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে। ঢাক,ঢোল, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনি দিয়ে দেবীদুর্গাকে বরণ করে নেওয়ার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। নিজেদের মনের মতো করে প্রতিমার নকশায় নিজেকে সেরা শিল্পী হিসেবে তুলে ধরতে দিন-রাত পরিশ্রম করে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মরত মৃৎশিল্পীরা। প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী ১১ অক্টোবর (সোমবার) ২৬শে আশ্বিন থেকে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন শুরু হবে।
প্রতি বছর আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে মহামারী আকার ধারণ করায় সরকারিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
কলাপাড়া পৌর শহর চিংগুড়িয়া সার্বজনীন শ্রিশ্রি দূর্গামন্দির কমিটির সভাপতি নাথুরাম ভোমিক বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পূজা উদযাপন করা হবে। করোনা মহামারি থেকে পরিত্রাণ পেতে মা দূর্গার কাছে প্রার্থনা করা হবে। সুন্দরভাবে পুজাঁ উদযাপন করার লক্ষে এলাকার যুবকদের নিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা পূজা উদাযাপন কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন এবছর কলাপাড়া উপজেলায় ১৭টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গোৎসব উপলক্ষে পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সাথে সভা করা হবে। এ উৎসব সম্পন্ন করতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কলাপাড়া উপজেলার প্রত্যেকটি পূজামন্ডপে সরকারি বিধি মোতাবেক পূজা সম্পন্নের লক্ষে প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রস্তুতি মূলক সভা করা হবে।
Leave a Reply