পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন।
প্রতিনিধি মফিজুল ইসলাম
পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়াই মোছাঃ হিমা আক্তার (২৫) কে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী মোঃ আমির হোসেনের বিরুদ্ধে।
মোঃ আমির হোসেন শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের, কাওরাইদ গ্রামের ত্রিমোহনী রাবারড্যাম এলাকার মোঃ হাফিজ উদ্দিন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া। সে কাওরাইদ এলাকার মাতৃছায়া মডেল একাডেমি এন্ড হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক। হিমা আক্তার ময়মনসিংহের পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর এলাকার মোঃ নুরুল ইসলাম এর মেয়ে।
জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ৮ বছর পূর্বে হিমা আক্তার এবং আমির হোসেন তারা পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বিবাহের বছর খানেক পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে হিমা আক্তার জানতে পারে তার স্বামী অন্য কোন মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেম সম্পর্কে জরিয়ে পরেছে। হিমা আক্তার তার স্বামী আমির হোসেন কে পরকীয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করতে চাই । অবশেষে ব্যর্থ হয়ে হিমা আক্তার বাদী হয়ে তার স্বামী মোঃ আমির হোসেন কে অভিযুক্ত করে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে ময়মনসিংহ জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। সি আর মামলা নং ৭।
মামলা সুত্রে ও বাদীর মৌখিক বক্তব্যে জানা যায়, মোছাঃ হিমা আক্তারের স্বামী সাংসারিক কাজের কথা বলে হিমা আক্তারের বাবার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার নেয়। এর কিছুদিন পরে হিমা আক্তারের আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। এর কিছুদিন পরে পুনরায় সাংসারিক কাজের কথা বলে আরো ১ লক্ষ টাকা ধার নেয়। কিন্তু হিমা আক্তারের স্বামী এসব টাকা সাংসারিক কাজে ব্যয় না করার কারণে তার স্বামী আমির হোসেনের প্রতি সন্দেহ সৃষ্টি হয়। মোছাঃ হিমা আক্তার বিভিন্ন প্রন্থা অবলম্বন করে জানতে পারে যে তার স্বামী অন্য মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেম সম্পর্কে জরিয়ে পরেছে। হিমা আক্তার তার স্বামীর পরকীয়ার কথা জেনে ফেলায় তার স্বামী আমির হোসেন হিমা আক্তার কে শারীরিক নির্যাতন করতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে হিমা আক্তার কে তার বাবার বাড়ি থেকে আরো ৪ লক্ষ টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। তখন কোন উপায় না পেয়ে হিমা আক্তার মামলা করতে বাধ্য হয়।
মামলার বাদী হিমা আক্তার আরও বলেন মামলা করার পর থেকেই আমার স্বামী আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে,আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আমার কাছে ২ সন্তান রয়েছে ,আমার স্বামী আমাকে ও আমার সন্তানদের কোন খুজ খবর নেই না এবং আমাদের চলার জন্য কোন খরচও দেয় না,তাই আমি নিজে চলার জন্য আমার পরিবারের সহযোগিতায় কাওরাইদ বাজারে একটি বিউটি পার্লার দেয়,সেখানেও সে এসে আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দেয়, এমনকি আমার বিউটি পার্লারের দোকান পুড়িয়ে ফেলবে বলে হুমকি দেয় ।
এ বিষয়ে মোছাঃ হিমা আক্তারের স্বামী মোঃ আমির হোসেন যৌতুকের ও পরকীয়ার কথা অস্বীকার করেন। তবে তার প্রতিষ্ঠানের( মাতৃছায়া মডেল একাডেমি এন্ড হাইস্কুল ) কাজের জন্য হিমা আক্তারের বোন সুমা আক্তারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন বিউটি পার্লার দেওয়ার জন্যই তাদের মধ্যে পারিবারিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply