মোঃ জাকির হোসেন (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চালু হচ্ছে আরেকটি বর্ডার হাট (সীমান্ত হাট)
এ হাট স্থাপনের লক্ষ্যে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পশ্চিম বটুলী সীমান্ত পিলার ১৮২৭ এর ম্যানস ল্যান্ডে বাংলাদেশ- ভারত যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন-মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ মোঈদ ফারুক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওছার দস্তগীর, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার, সহকারী কমিশনার ভূমি রতন কুমার অধিকারী, ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী, কমলগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি, ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ, বিজিবির সিও সহ একটি প্রতিনিধি দল অংশ গ্রহণ করে।
অন্যদিকে ভারতের পক্ষে অংশগ্রহণ করে উত্তর জেলা ত্রিপুরার এডিশনাল ডিএম ডিবি রিং এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এ প্রতিনিধি দলে সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ও বিএসএফের সদস্যরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ সীমান্ত হাটে কাপড়, সাবান, সবজি, ফল, মসলা, শিশুদের জিনিসপত্র, গৃহস্থালির নানা জিনিস পত্র, কৃষিজাত পণ্য, চাউল, ডাল, তেল, ঘি, মশার কয়েল, প্লাস্টিকের আসবাব, অ্যালুমিনিয়ামের জিনিসপত্র, জুতা, খেলনা, বিভিন্ন ধরনের শাড়ী, গামছা, লুঙ্গি, জুয়েলারি, বেকারী পণ্য, সিরামিকস ও কসমেটিকস সামগ্রী বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা ইয়াসমিন বলেন, সীমান্ত হাট স্থাপনের জন্য জুড়ী সীমান্তের ফুলতলার পশ্চিম বটুলী নো ম্যান’স ল্যান্ডে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় এ সীমান্ত হাট চালু হতে যাচ্ছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, সীমান্তে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে সীমান্ত বাজার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈঠক সম্পন্ন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, সীমান্ত হাটের যাবতীয় ফাইল চূড়ান্তভাবে বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সীমান্ত হাট এর কার্যক্রম শুরু হবে বলেও সূত্রটি তথ্য নিশ্চিত করে। এ সীমান্ত হাটে বাংলাদেশ – ভারতের সর্বোচ্চ ৫০ জন করে মোট ১০০ জন ব্যবসায়ী পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। উভয় দেশের ১৫০ জন করে মোট ৩০০ জন ক্রেতা বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের বাড়ি সীমান্ত এলাকার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে হতে হবে। হাটকে ঘিরে করে পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরো জানা যায়, সীমান্ত হাটে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ক্রেতা- বিক্রেতার পরিচয়পত্র ইস্যু করা হবে। হাটে প্রবেশের জন্য উভয় দেশের দুই দিকে দুটি গেট থাকবে। এছাড়া থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, শৌচাগার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এদিকে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়, দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সহজলভ্য করার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাদের জীবন মানের অনেক উন্নয়ন ঘটবে।
Leave a Reply