এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের মহসীন আলীশখের বসে ঘোড়া পালন শুরু করেন। এক সময় তাঁর মাথায় চিন্তা আসে পালিত ঘোড়াকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করা যায়। সেই থেকেই ঘোড়া দিয়ে শুরু করেন অন্যের জমিতে চাষ ও মই দেওয়া। এতে করে তাঁর বাড়তি আয় হচ্ছে।
মহসীন আলী বলেন, আমার বাবা ঘোড়া পালন করতেন, ছোটবেলা থেকেই বাবার ঘোড়া পালন করা দেখে এ বিষয়ে আগ্রহী ছিলাম। প্রায় ৩০ বছর আগে দু’টি ঘোড়া কিনছিলাম। বর্তমানে আমার পাঁচটি ঘোড়া আছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মেলায় ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করছি বেশ কয়েকবার পুরস্কার জিতছি বলেও তিনি জানান। মহসীন আলী আরো বলেন, পাখি ডাকা ভোর থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জমিতে চাষ ও মই দিয়ে দেয়। দিনে প্রায় ৫০ শতক জমি চাষ করি। প্রতি বিঘায় ৬০০ টাকা নেয়। ঘোড়া পালন করে যা আয় হয় তা দিয়ে আমার বেশ সংসার চলে। প্রতিদিন ঘোড়া গুলোকে খাওয়াতে খরচ হয় ৭০০ টাকা। আমি এ পর্যন্ত চারটি ঘোড়ার বাচ্চা বিক্রি করছি।
মহসীন আলীর প্রতিবেশী আজিজু্ল রহমান বলেন, আমরা আগে কখনো ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ বা মই দেওয়া যায় তা জানতাম না। তবে, মহসীন ভাই অনেক দিন থেকেই গ্রামে গ্রামে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ ও মই দেওয়ার কাজ করছেন।
হরিহরপুর গ্রামের মিলল মিয়া বলেন, আমার ধারণাই ছিল না যে, জমিতে কৃষিকাজে কৃষি যন্ত্রের বদলে পালিত ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ ও মই দেওয়া যায়। এটা আমার কাছে একটি ভিন্ন ধরনের বিষয় মনে হচ্ছে। আমি আমার জমি চাষের জন্য মহসীন চাচার কাছে অগ্রিম বুকিং দিতে এসেছি।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, শুনেছি, মহসীন আলী শৌখিন মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। আবার বেশ কয়েকবার পুরস্কার ও জিতেছেন। এছাড়াও তিনি ঘোড়া দিয়ে কৃষি জমিতে হাল চাষ ও মই দিয়ে বাড়তি আয় করেন।
Leave a Reply