নরসিংদীতে ঈদের মৌসুমেও ক্রেতা শূন্য,খাঁ খাঁ করছে দর্জিদোকান :
আশরাফুল ইসলাম সবুজ
জেলা প্রতিনিধি,নরসিংদী :
ঈদ আসে আনন্দ নিয়ে। এ আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় নতুন পোশাক। তাই ঈদ সামনে রেখে যেমন মানুষের ভিড় দেখা যায় বিপণি বিতানে, তেমনই ভিড় করতে দেখা যায় দর্জি দোকানে। তবে এবারের চিত্র যেন ভিন্ন। নরসিংদীর টেইলার্সগুলোতে এবার তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না গ্রাহকদের। যেখানে ঈদ উপলক্ষে নানারকম অর্ডারের জন্য ব্যস্ত থাকার কথা,সেখানে অলস সময় পার করছেন দর্জিরা।
কিন্তু কেন এ সংকট? দর্জিকাজে নিয়োজিতদের সঙ্গে কথা বললে নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য এ অবস্থার জন্য দায়ী-এমনটা বলা হচ্ছে। বিগত দুই বছরে করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকই। তার ওপর এবার নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য। এ দুয়ের প্রভাবে উৎসবের মৌসুমেও খাঁ খাঁ করছে দর্জিদোকানগুলো।
বিগত বছরগুলোতে করোনার প্রকোপে বিধিনিষেধ এবং লকডাউন থাকায় সেভাবে জমজমাট ছিল না ঈদ বাজার। এ বছর করোনার প্রকোপ নেই। নেই বিধিনিষেধও। কিন্তু এবারও আশানূরূপ গ্রাহক নেই নগরীর দর্জিদোকানগুলোতে। বড় দর্জিদোকানে খদ্দেরের দেখা মিললেও ছোট দোকানগুলো একেবারেই ফাঁকা।
কেন এমন সংকট- এ প্রশ্নের জবাবে ভাই ভাই টেইলার্সের কর্মী বলেন, ‘মূলত দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষের খরচ সীমিত হয়ে গেছে। যার ফলে অনেকে চাইলেও টেইলার্সে এসে কাপড় বানাতে পারছে না। মার্কেট থেকে রেডিমেড কাপড় কিনে নিচ্ছে।’
বর্তমানে দর্জিদোকানে প্রতি পিস সেলাই মূল্য সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বচ্ছো ১৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
এসময় ক্রেতারা জানান, রেডিমেড কাপড়ের চেয়ে এসব কাপড় অনেক আরামদায়ক। তাই এগুলো তারা পড়তে পছন্দ করেন,কিন্তু সবচেয়ে কিছু দাম বৃদ্ধি পাওয়া, আয় উপর হিসাবে করে ব্যয় করতে হচ্ছে।
Leave a Reply