বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার মাদুরপাল্টা গ্রামের বসত ঘর থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। উদ্ধার হওয়া ওই সাপটি বনে ছেড়ে দিয়ে ফেরার পথে বন সংলগ্ন খড়মা নদীর পাড় থেকে একটি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার করে বনবিভাগ। কচ্ছপটি করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান মোক্তাদির জানান, মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের মাদুরপাল্টা গ্রামের বাসিন্দা মাজেদ মৃধার বসতে ঘরের মধ্যে একটি অজগর ঢুকে পড়ে ঘরে থাকা পোষা মুরগি ধরে (কামড়ে ধরে)। ঘরের লোকজন দুপুর ১টার দিকে ঘরে সাপের এ মুরগি ধরা দেখে ভয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তা দেখে বনবিভাগকে খবর দেয়। এরপর বনবিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে সাপটি উদ্ধার করে দুপুর আড়াইটার দিকে জিউধারা অফিস সংলগ্ন বনে ছেড়ে দেয়। এ সাপটি লম্বায় ৯ ফুট ও ওজন ৬ কেজি। এদিকে বনে সাপ ছেড়ে দিয়ে ফেরার পথে বন সংলগ্ন খড়মা নদীর পাড় থেকে বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির একটি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার করে বনবিভাগের সদস্যরা। উদ্ধার হওয়া আধা কেজি ওজনের কচ্ছপটির বয়স দুই বছর। কচ্ছপটি বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির হওয়ায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেটি সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান বন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান মোক্তাদির। তিনি বলেন, খাদ্যের সন্ধানে সাপটি লোকালয়ের বসত ঘরে যেয়ে থাকতে পারে। কারণ সাপটি ঘরে ঢুকে পোষা মুরগি ধরেছিলো। এছাড়া অসাধু লোকেরা বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির সুন্ধি কচ্ছপ পাচারকালে বনবিভাগের সদস্যদের দেখে নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের গোড়াবুড়বুড়িয়া গ্রামের ফারুক হাওলাদারের মুদি দোকানের ভিতর থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করে বনবিভাগ।
Leave a Reply