বগুড়া প্রতিনিধিঃ-
বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নে সহিদদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২) এর লাশ দাফন করতে বাধা দিল শ্বশুর বাড়ীর লোকজন
বুধবার (২৪ আগস্ট) উপজেলার লাহেড়ীপাড়া ইউনিয়নের উত্তর সাতশিমুলিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
সদর থানা পুলিশ নাজমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতলে নিয়েছে।
বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির আল-আহসান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নাজমার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে যায়। তাদের অভিযোগ নাজমাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
জানা যায়, সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের উত্তর সাতশিমুলিয়া গ্রামের অলি মিয়ার ছেলে শহিদ হোসেনের সাথে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে পাশের গোকুল ইউনিয়নের কামাল হোসেনের মেয়ে নাজমার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি কন্যা সন্তানও রয়েছে । শহিদ পেশায় একজন গাড়িচালক। প্রায় চারমাস আগে কাজের সন্ধানে স্ত্রী ও সন্তানসহ সে সাভারের হেমায়েতপুরে যায়৷ তবে সেখানে সে বেকার অবস্থাতেই ছিলেন। আর তার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকুরী করত।
নাজমার ভাই সোবহান হোসেন জানান, ‘আমার বোন ও দুলাভাই ঢাকার সাভার হেমায়েতপুরে থাকেন। রবিবারে হুট করে আমাদের মুঠোফোনে জানানো হয় আপা মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা শহী সোহরাদী হাসপাতালে ভর্তি করলে মঙ্গলবার রাতে মারা যায়।
এরপর বুধবার সকাল ৭ টার দিকে দুলাভাই সাতশিমুলিয়া তার নিজ বাড়িতে লাশ নিয়ে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই আমরা দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
তবে আপার লাশ ধোঁয়ানোর সময় দেখা যায় তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন। এসময় আমরা লাশ দাফনে বাঁধা দেই।
পুলিশের এসআই জাকির আল-আহসান বলেন, নাজমার পরিবারের দাবি ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। শহিদের মায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমার ছেলের বউ অসুস্থ্য হলে আমরা সোহরার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে দিলে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গল বার রাতে মারা যায়। হাসপাতালের ছাড়পত্র ঔ চিকিৎসার কাগজ পত্র আমরা বগুড়া সদর থানা পুলিশকে দিয়েছি। কেউ যদি এঘটনায় জড়িত থাকে আমিও তার শাস্তির দাবী করছি। আইনে যা হবে আমরা তা মেনে নিব। নাজমার পরিবারের দাবী সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করক হোক।
Leave a Reply