মোংলা প্রতিনিধি
মোংলার বঙ্গবন্ধুপাড়ার কাইনমারী খাল সংলগ্ন ড্রেন থেকে একটি সুন্ধি প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয় দুই সংবাদকর্মী। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওই দুই সংবাদকর্মীর চোখে পড়ে ড্রেনের এ কচ্ছপটি। এরপর সেখান থেকে তা উদ্ধার করে নিয়ে বনবিভাগের ফুয়েল জেটিতে বন কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবিরের কাছে হস্তান্তর করেন তারা। পরে বন কর্মকর্তা আজাদ কবির কচ্ছপটি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র অবমুক্ত করে দেন।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বনপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির জানান, মোংলার মোঃ হাফিজুর ও মোঃ আলআমিন হোসেন নামের দুই সাংবাদিক শক্রবার সকালে পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু পাড়ার ড্রেন থেকে একটি সুন্ধি প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করেন। এরপর তারা সেটিকে বনবিভাগের ফুয়েল জেটি নিয়ে এসে আমার কাছে হস্তান্তর করেছেন। বিলুপ্ত প্রায় এ সুন্ধি প্রজাতির কচ্ছপটির বয়স প্রায় তিন বছর, আর ওজন প্রায় দেড় কেজি। এ কচ্ছপ দীর্ঘদিন মাটির নিচে থাকতে পারে, শরীরের রোদ্রের তাপ না লাগলে খাওয়ারও তেমন প্রয়োজন হয়না। সম্ভবত মাটির নিচ থেকে বের হয়েছে, নতুবা কেউ খাওয়ার জন্য এনেছিলো সেখান থেকে ছুটে এসে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, আমি বনবিভাগের পক্ষ থেকে সাংবাদিক হাফিজ ও আলআমিনকে ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে তারা বন্যপ্রাণীর মায়ায় সেটিকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তা না হলে এটি লোকজনে মেরে কিংবা ধরে খেয়েও ফেলতে পারতেন। তিনি আরো বলেন, এ কচ্ছপ সাধারণত মাঝে মধ্যে মিষ্টি পানির এলাকায় দেখা যায়। মিষ্টি পানির জলাশয় ও ধান ক্ষেতে মাঝে মধ্যে এর অস্তিত্ব মিলে থাকে। মানুষের খাওয়ার কারণে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ প্রজাতি এখন বিলুপ্ত প্রায়।
বন কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ কচ্ছপটি করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মাস তিনেক আগে বাগেরহাটের রামপালের কাদিরখোলা এলাকার একটি চিংড়ি ঘেরের বেড়ীবাঁধের উপর থেকে উদ্ধার হওয়া কচ্ছপটিও করমজলের পুকুরে অবমুক্ত করা হয়।
Leave a Reply