ভোলা প্রতিনিধি ॥
ভোলা সদরের ২নং ইলিশা ইউনিয়নে জমি জমাকে কেন্দ্র করে ৪ নারীকে এলোপাথারি পিটিয়ে জখম করেছে ভূমিদস্যুরা। হামলায় গুরুতর আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গুপ্তমুন্সী রাস্তারমাথা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গুপ্তমুন্সী রাস্তারমাথা এলাকার মৃত মনোর আলী হাজীর মেয়ে জহুরা বেগম ও ছহুরা বেগম ওয়ারিশ সূত্রে পিতার সম্পত্তির মালিক হন। মনোর আলী হাজীর ছেলে কাঞ্চন খলিফা গংরা পিতার সম্পত্তি থেকে বোন জহুরা বেগম ও ছহুরা বেগমকে ওয়ারিশ সম্পত্তির অল্প কিছু বুজিয়ে দেয়। কিন্তু জহুরা বেগম ও ছহুরা বেগমের বাকী ২ একর ১১ শতাংশ জমি কাঞ্চন খলিফা ও তার ছেলেরা জোরপূবর্ক দখলে রাখেন। ওই জমি জহুরা বেগম ও ছহুরা বেগমের সন্তানরা বুজিয়ে দিতে বললে কাঞ্চন খলিফার ছেলে ভূমিদস্যু বাবুল খলিফা তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে জহুরা বেগমের ছেলে সহিজল হক, মেয়ে শাহানুর বেগম, কহিনুর বেগম ও ছহুরা বেগমের ছেলে রুহুল আমিন, মেয়ে নিলুফা বেগম গংরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জমি বুজিয়ে পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। জনপ্রতিনিধিগণ দুইপক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে শালিসী বৈঠকে বসতে বললে ভূমিদস্যু বাবুল গংরা জমির কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এবং শালিসে বসতে অস্বীকৃতি জানায়। জনপ্রতিনিধিগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দুইপক্ষকে শালিসে বসে মিমাংসা হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কথা অমান্য করে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ভূমিদস্যু বাবুল খলিফা, অবি, শাহাবুদ্দিন, সিয়ামসহ ২৫/৩০জনের একটি বাহিনী বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ধানের চারা রোপন করে দখলের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে জমির প্রকৃত মালিক শাহানুর বেগম, কহিনুর বেগম, মরিয়ম, শারমিন, সহিজল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবুল খলিফা বাহিনীকে বাঁধা দেয়। এতে উত্তেজিত হয়ে বাবুল বাহিনী শাহানুর বেগম, কহিনুর বেগম, মরিয়ম, শারমিনকে এলোপাথারী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং তাদের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় বাবুল বাহিনী মরিয়ম, শারমিনকে শ্লীলতাহানীর চেস্টা করে। এক পর্যায়ে শাহানুর গংদের আত্মচিৎকার শুনে লোকজন এসে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় হামলাকারী বাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগী সহিজল হক জানিয়েছেন।
জমির মালিক সহিজল হক বলেন, বাবুল বাহিনী জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করেছে। আমরা বাধা দিলে আমাদের লোকজনকে মারধর করে জখম করেছে। আমরা যাতে জমি বুজে পেতে পারি সে জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এব্যাপারে আমরা বাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাবুল খলিফা গংদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেস্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম আজম বলেন, এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত কারী কর্মকর্তা এএসআই মাইনুল তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply