নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগন্জ এলাকা থেকে ছিনতাই করা একটি বাস ভেঙে যন্ত্রপাতি বিক্রির চেষ্টা কালে নরসিংদীর রায়পুরায় থেকে উদ্ধার ও আটক তিন।
রোববার দুপুরে উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়নের আলগী এলাকা থেকে ছিনতাই করা বাস উদ্ধার। সন্দেহ বাজন হিসেবে তিনজনকে আটক করে রায়পুরা থানা পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার রাতে সিদ্ধিরগন্জের একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে বাসটি ছিনতাই হয়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার মানিকনগর এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে আল আমীন (৩০) উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের নোয়াব মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২৫), বেলাব উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ভুদ্দা বেপারির ছেলে স্বপন মিয়া (২৯)। পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়, মো দিদার মিয়ার নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড টু চন্দ্রা চলাচলকারী ঠিকানা পরিবহনের বাস। রায়পুরা উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়নের চয়ন শেখ (৩৫) গত কয়েক বছর যাবত বাসের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। গত ৬-৭ মাস যাবত অন্ত্র কাজ করতো শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগন্জের সাইনবোর্ড সান সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে ছিনতাই করে। পরে সিসি ফোটেজে মুখোঁশদারী বাসটি ছিনতাই করে। রায়পুরাতে নিয়ে আসে বাসটি ভেঙে যন্ত্রপাতি বিক্রির চেষ্টা। স্থানীয়রা পুলিশ কে খবর দেন। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ বাসসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভুগীর স্বজন আরিফ বলেন, ‘চয়ন দীর্ঘদিন যাবত ওই বাসের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। গত তিন মাস যাবত অন্ত্র কাজে যুগ দেন। সিসি টিভি ফোটেজে দেখা যায় চয়ন শেখের মত মুখোশদারী কৌশলে চাবি নিয়ে রাতে ওই বাসটি সিএনজি স্টেশন থেকে রাত ৩টায় ছিনতাই করে। সিদ্ধিরগন্জ থানায় অভিযোগ দেই। সন্দেহে রোববার দুপুরে রায়পুরা থানায় আসলে ছিনতাই করা বাসটি থানা পুলিশী হেফাজতে। বিকেলে বাসটি নিয়ে যাচ্ছি।”
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক রকিবুল ইসলাম জানান, ‘ছিনতাই করা বাসটি রোববার বিকেলে উদ্ধার করে সিদ্ধিরগন্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করি। একজনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। বাকি দুইজনকে সিদ্ধিরগন্জ থানা পুলিশ হেফাজতে দিয়ে দেয়া হয়েছে।’
সিদ্ধিরগন্জ থানা পুলিশ উপপরিদর্শক মো মিয়াউর রহমান মুঠোফোনে জানান,’এ ঘটনায় ভক্তভুগীর পক্ষ থেকে শনিবার লিখিত অভিযোগ পাই। সন্দেহ বাজন হিসেবে দুইজনকে আমাদের হেফাজতে রয়েছে।’
Leave a Reply