মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের আটমূল উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত একাডেমিক ভবনের শুভ উদ্বোধন ও প্রস্তাবিত শেখ রাসেল ল্যাব ও বড়বেলঘড়িয়া জে আই দাখিল মাদ্রাসার নব নির্মিত চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল আলীম তালুকদার এর সভাপতিত্বে উক্ত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ৩৭-বগুড়া -শিবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্। তিনি বলেন, আমি ২০১৪ সালে এই উপজেলার সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার ৪২ বছরে আটজন এমপি যে উন্নয়ন করেছে তার চেয়ে বেশি আমি একাই সেই কাজ করেছি ইনশাআল্লাহ আপনাদের দোয়ায়। সারা উপজেলার মানুষ বলে কেন করতে পেরেছি, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা আমার মধ্যে দেশপ্রেম কাজ করে বলে।এই কারণে জনগণের পাশে থেকে জনগণকে যেমন নিরাপত্তা দিয়েছি তেমনি ভাবে এই উপজেলার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশ্বে সোলার প্যানেল স্থাপন করেছি যাতে করে মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। এতে করে চুরি ডাকাতি কমে গিয়েছে। বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড উচ্ছেদ করেছি জুয়া হাউজি উচ্ছেদ করেছি। পাশাপাশি তিনি আবারও নির্বাচিত হলে পূর্বের ন্যায় কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থাকবেনা বলে উল্লেখ করেন।

আলোচনা ও সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু তিনি বলেন, যিনি উপজেলার উন্নয়নে কাজ করছেন তাকে আপনারা নির্বাচিত করবেন।তিনি পরীক্ষিত একজন মানুষ আপনারা মহাজোটে অনেক ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছেন। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানে নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়েছিলেন। আমরা বিশ্বাস করি তার প্রতি আপনাদের ধারণা আরো বুদ্ধকর হয়েছে।তিনি একজন দেশপ্রেমিক উপজেলার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এলাকার উন্নয়নে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি উপজেলার পক্ষ থেকে এলাকার ছোটখাটো যে কাজগুলো আছে আমরা ইনশাল্লাহ করবো। বড় যেগুলো কাজ রয়েছে আশা করি সেগুলো কাজ তিনি করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। আপনারা ভোট দিবেন এলাকায় জুয়া , মাদক, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্য, থানায় দালালি থাকবে না এগুলোই তো আপনারা চান তাইতো। এগুলো আপনারা যদি চান আগামী নির্বাচনে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক হুসাইন শরীফ সঞ্চয় তিনি বলেন, আজকে আটমূলের মতো প্রত্যন্ত একটি এলাকায় তিন তলা বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুগ উপযোগী আধুনিক শিক্ষার শিক্ষিত গড়ে তুলার মাধ্যমে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।আজ ডিজিটাল যুগে গ্রামের শিক্ষার্থীরা আর শহরের শিক্ষার্থীদের আলাদা ভাবে দেখার কিছু নেই। আজকে একজন এলাকার একজন যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে পাচ্ছে আমারা চেষ্টা করছি শিবগঞ্জের আটমূল ইউনিয়ন এবং এলাকার শিক্ষার্থীরা সমানভাবে সুযোগ-সুবিধা পায়। এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীতে দেশের ভবিষ্যৎ। মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্ শিবগঞ্জ উপজেলায় ১৯৭১ সালে পরবর্তী সময়ে এক মেয়াদের পরপর দুইবারের নির্বাচিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতাই তিনি সাড়ে ৯ বছরে একাডেমিক ভবন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষা সেক্টরকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আগামীতে এই সব শিক্ষার্থী ভাই বোনেরা দেশের দক্ষ জনশক্তি হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। যে নেতা উপজেলার উন্নয়নের জন্য পক্ষে থাকেন, জনসাধারণের পাশে থাকেন।আপনারা আগামীতে তাকে নির্বাচিত করবেন। আপনারা তাকেই বেঁছে নেবেন আমি মনে করি যিনি রাস্তাঘাট কলেজ মাদ্রাসা মসজিদ মন্দিরের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। আগামীতে তাকে নির্বাচিত করি দলবল নির্বিশেষে। উপজেলার অসমাপ্ত উন্নয়ন সমাপ্ত করার ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্ মহাদয়কে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করবার কোন বিকল্প নেই, বলে আমি মনে করি।

উক্ত সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, আটমূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোত্তালেব মোল্লা, উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি এরফান আলী, শিবগঞ্জ উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি ফজলুল বারী, সাধারণ সম্পাদক ছানাউল হক (সানা),আটমূল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাসু, ১২নং রায়নগর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মোশারফ হোসেন, মহাস্থান মাহীসওয়ার ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন (খোকা), জে আই দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান। সহকারী শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম, শ্রী ভবেন চন্দ্র মোহন্ত,মোফাজ্জল হোসেন, ছামছুল আলম,বিপুল কুমার, সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ মোহছেনারা খাতুন,পিউলি রাণী সরকার,মোছাঃ জেসমিন বেগম অফিস সহকারী আলম,যুবনেতা আলামিন,দেলোয়ার হোসেন,রিপন,রুনু, ফেরদৌস, ছাত্র নেতা সৈকত সহ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ।