আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচেন
দলীয় মনোনয়ন পেতে বিতর্কীত টিটুর দৌড়ঝাপ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলেই এলাকায় আনাগোনা শুরু হয় বসন্তের কোকিলদের। নগদ টাকা, সাহায্য সহযোগীতা করে হঠাৎ করে আলোচনায় আসতে চায় তারা। তার ব্যতিক্রম নয় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়ন। সারাদেশের মত আসন্ন ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে এ ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নে আ’লীগের মনোনয়ন পেতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অনেক বিতর্কীত ব্যক্তিরাও মনোনয়ন প্রত্যাশী যা দেখে খোদ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নে নৌকার হাল ধরতে গণসংযোগ চালাচ্ছে ওয়াদুদ খন্দকার টিটু।
সূত্রে জানাযায়, ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে বংশানুক্রমে দল বদল করে টিটু ও তার পরিবারের সদস্যরা। বিএনপির ক্ষমতা পরিবর্তনের পরেই এলাকা ছাড়ে টিটু। এমনকি নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র ময়মানসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার। হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া টিটু সম্প্রতি এলাকায় এসে অন্যের জমি দখল করার মধ্য দিয়ে নিজেকে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কোথাও কোথাও নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নিজেকে জাহের করছে। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সারাদেশে অালোচিত কয়েক দিন আগে ভাষ্কর্য্য ভাঙ্গার পক্ষে এলাকায় মিছিল ও শোডাউনে নেতৃত্ব দিয়েছে টিটুর বাহিনী ও তার আপন চাচা আলহাজ্ব গোলাম মাওলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন।
আসন্ন কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করছে টিটু। সে দক্ষিণ সাদিশ গ্রামের মৃত আবুল বাশার খন্দকার’র পুত্র। এনিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের মধ্যে।
বাকেরগঞ্জ মুজিব বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হান্নান বাদশা বলেন,‘ টিটু পরিবারের সদস্যরা স্বাধীনতার বিপক্ষের। টিটু হঠাৎ টাকার মালিক হয়ে মনগড়া ভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।’
এব্যাপারে ওয়াদুদ খন্দকার টিটু বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে আমি ময়মানসিংহে ছিলাম। বাকেরগঞ্জ পৈত্রিক ভিটায় এখন থেকে বসবাস করবো। ২০১৭ সালে আ’লীগের সদস্য ফরম পূরণ করেছি। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্র নিজ এলাকায় পরিবর্তন করে এনেছি।’
Leave a Reply