হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধি:
গত ১ অক্টোবর,শুক্রবার, নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এফবিসিসিআই-এর নব নির্বাচিত সভাপতি জসিম উদ্দিনের সন্মানে এক সংবর্ধনা ও মত বিনময় সভা স্হানীয় দারুল কাবাব রেষ্টুরেন্টে অনুুষ্ঠিত হয়।খবর বাপসনিউজ।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ওসমান গনি এবং সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সুহাস বড়ুয়া।
সভার প্রারম্ভে এফবিসিসিআই-এর নব নির্বাচিত সভাপতিকে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে অভিনন্দন জানান সভাপতি ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক সুহাস বড়ুয়া এবং মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিম পারভীন, সাধারণ সম্পাদক মিশা রহমান।
সভায় প্রাধান অতিথি জসিম উদ্দিনের সাথে মত বিনিময়ে অংশ গ্রহন করেন ব্যারিষ্টার জিয়াউল হাসান, ড. আবদুল্লাহ শিবলী, ড. আশিস দেব, ড. নাসরিন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ড. মাহফুজুর রহমান, কবি বদিউজ্জামান নাসিম, বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি নোমান চৌধুরী, আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সাবু, বোষ্টন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন মোরশেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাফিস খান, মুনির সাজি, মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাসিম পারভীন, সাধারণ সম্পাদক মিশা রহমান,যুবলীগের সিরাজুম মুনির, সৈকত খান, নাসির উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান, মোহাম্মদ ফোরকান, ব্যাংকার মোহাম্মদ লাকমান,আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিন, জেমমিন গনি সহ অন্যান্য সস্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
সভায় দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্হা,দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে আয়ের মূল উৎস সমূহ, প্রবাসীদের বিভিন্ন খাতে দেশে বিনিয়োগ,আমদানি-রপ্তানি সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রবাসীদেরকে দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করেন এবং আগ্রহীদের এফবিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভার সভাপতি ওসমান গনি তার বক্তব্যে দেশের দুর্যোগ মোকাবেলা,সরকারের বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন মূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এফবিসিসিআই-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে সরকারের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে বলে প্রশংসা করে এফবিসিসিআই-এর নব নির্বাচিত কমিটি,সদস্য ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। সভায় কয়েকটি প্রস্তাবনা রাৃেন নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব বাংলাদেশী বুড্ডিষ্ট এর সদস্য সচিব সুহাস বড়ুয়া। সভায় সংবর্ধিত এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন বর্তমান সরকার প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং তিনি প্রবাসীদের সে সুযোগ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান এবং সুহাস বড়ুয়ার প্রস্তাবনা সমূহের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সুহাস বড়ুয়ার প্রস্তাবনা সমূহের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য উৎপাদিত পণ্য সমূহ সম্পর্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের তথ্য প্রদানের ব্যবস্থা করা, যাতে বাংলাদেশী পণ্য প্রবাসী ব্যবসায়ীরা সহজে বিদেশে আমদানী করতে পারেন। এফবিসিসিআই এবং সরকারের রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো বিশ্বের বিভিন্ন শহরে প্রবাসীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য সম্পর্কে তথ্য প্রদানের জন্য একটি করে তথ্য সেল গঠন করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে যে সকল জটিলতা বা আইনি বাঁধা রয়েছে, তা নিরসনের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের সন্তান বা যুক্তরাস্ট্রে পড়াশুনা করা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য শহর সমূহে চায়নার মত বাংলাদেশী শহর করার জন্য ইমিগ্রান্টদের সহযোগিতা করার প্রস্তাব রাখেন, যাতে বাংলাদেশী পণ্য সমূহ বিদেশে সহজ লভ্য করা যাবে। উল্লেখ্য, চায়না সরকার আমেরিকা ও বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত চায়নীজ ইমিগ্র্যান্টদের ১০ বছরের জন্য বিনা সুদে বিনিয়োগ করার জন্য বিভিন্ন অংকের টাকা লোন হিসাবে প্রদান করে এবং তাঁরা বিভিন্ন শহরে তা দিয়ে চায়না টাউন গড়ে তোলে। জনসংখ্যা রপ্তানীর ক্ষেত্রে আমেরিকার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বায়ো মেডিকেল এবং এই জাতীয় বিভিন্ন সেক্টরে টেকনোলজী নির্ভর স্বল্প মেয়াদী শিক্ষা ও প্রশিক্ষন মূলক ট্রেড স্কুল চালু করার প্রস্তাব রাখেন। উল্লেখ্য, WFBB-এর নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে তিনি একটি অনলাইন চেম্বার অফ কমার্স প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।সভা শেষে সবাইকে নৈশ ভোজের মাধ্যমে আপযায়ন করা হয় ।
Leave a Reply