রাব্বী আহমেদ কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া শহর বিএনপির সদস্য কাজল মাজমাদারের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করছেন কুষ্টিয়ার সকল ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে কুষ্টিয়া দোকান মালিক সমিতির শত শত নেতাকর্মী বিভিন্ন ধরনের প্লাগকাড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।কুষ্টিয়ার জনপ্রিয় এই নেতা বলেন, আমার সরলতা ও জনপ্রিয়তার কারণে অনেকেই আজ আমার শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আজ আমি মিথ্যাচারের শিকার। সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় দৈনিক দেশ রূপার পত্রিকায় ৯ নং পাতায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হয়। আমাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা খবর প্রকাশ করা হয়েছে যা একেবারেই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এটা কোনভাবেই সত্য নয়। আমার জানামতে কারো প্ররোচনায় পড়ে এই পত্রিকার প্রতিনিধি আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প লিখে সাজিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, একটি বিশেষ মহল আমার সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে আমার সম্মানহানি করার জন্য এই মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে আমি মনে করি এবং এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কাজেই মিথ্যা খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত খবরটি জনগণের সম্মুখে তুলে ধরার জন্য আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। কুষ্টিয়ার স্থানীয় জনগণ বলেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির বিগত সময়ের সকল আন্দোলন সংগ্রামে সব সময় তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন কাজল মাজমাদার। প্রায় দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কুষ্টিয়া জেলার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বলে আমরা জানি। বিএনপি’র বিগত সময়ের সকল আন্দোলন সংগ্রামের দুদিনের নেতা কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র নেতা মেজবাউর রহমান পিন্টু বলেন, তার সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে একত্রিত রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে। সুসময়ে অনেক অতিথি নেতারা কুষ্টিয়া বিএনপির রাজনীতিতে দেখা গেলেও দুঃসময়ে তাদের দেখা যায়নি। তিনি বলেন যে কোন বিপর্যয়ের সময় কুষ্টিয়া রাজপথ থেকে শুরু করে ঢাকার রাজপথে দলের আন্দোলন সংগ্রামের সম্মুখ সারীতে ভূমিকা রেখেছিলেন কাজল মাজমাদার। দলের দুঃসময়ের দীর্ঘ ১৬ বছর হামলা মামলা শিকার হয়েছিলেন কাজল মাজমাদার। অনেক মামলায় দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, কিংবা বছরের পর বছর এবং যুগ পেরিয়ে গেলেও নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আদালতের বারান্দায় সময় কেটেছে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক এক নেতা মিন্টু বলেন, বিএনপির রাজনীতি করতে যেয়ে অনেক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। বিএনপি’র রাজনীতি করার অপরাধে কুষ্টিয়াও ছাড়তে হয়েছে এবং বাড়িঘর সর্বোচ্চ ঘুচিয়েছেন তিনি বিগত সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও তার ভাই আতাউর রহমান আতার নির্দেশে পুলিশ তার শহরের বাড়ি সহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালায় কুষ্টিয়ার রাজনৈতিক মহলের মতে জেল বিএনপির রাজনীতিতে কাজল মজাদার দুঃসময়ের কান্ডারী হয়ে আছেন। বিগত সরকারের আমলে বিএনপি’র অনেক বাঘাবাঘা নেতা আওয়ামী লীগ সরকারের কঠিন সময়ে নিজেদের বাঁচাতে আড়ালে আবডালে থেকেছেন কেউবা আবার সরকারী দলের সাথে আঁতাত করে চলেছেন। কিন্তু সেই দিক থেকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কাজল মাজমাদার অন্যতম।
কুষ্টিয়ার তৃণমূল এসব নেতাকর্মীরা দ্যাথ্যহীন কণ্ঠে উচ্চারণ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে দলের ভিতরে ও বাইরে অপশক্তির কোন বড় ষড়যন্ত্রে মিথ্যা অপপ্রচারে কুষ্টিয়াবাসী বরদাস্ত করবে না।
কুষ্টিয়া দোকান মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কাজল মাজমাদারের কারনে কুষ্টিয়াতে কোন চাঁদাবাজি নেই, সব সময় কাজল মাজমাদার ব্যবসায়ী এবং সাধারন জনগণের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা এই ধরনের বানোয়াট, মিথ্যা সংবাদ প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
Leave a Reply