মোঃ লিমন গাজী
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলী উপজেলা কৃষি অফিসে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কৃষি খাতে সুপরামর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ কৃষক। বরগুনার অবহেলিত এই অঞ্চলে দিন দিন বেরেই চলছে কৃষকদের সংখ্যা। ধানের পাশাপাশি শাকসবজি তরমুজ সহ সারা বছর জুড়ে চাষ হচ্ছে নানা প্রজাতির ফসল। তবে কৃষি অফিসে জনবল সংকটতার কারণে অনেক পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। তারা জানিয়েছেন কৃষি অফিসে পর্যাপ্ত জনবল থাকলে সুপরামর্শ থেকে বঞ্চিত হবে না।
বাংলাদেশ সরকার তৃণমূল কৃষিখাতকে শক্তিশালী করতে কৃষকদের বিভিন প্রণোদনা ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করে আসলেও শুধুমাত্র জনবল সংকটের কারণে তা বাস্তবায়ন করতে উপজেলা কৃষি বিভাগকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে কৃষি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যক্রমও। এছাড়া কৃষক কার্ড থেকে শুরু করে সার, বীজ ও বিভিন্ন কৃষি উপকরণ কৃষকের মধ্যে বিতরণেও বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, সাতটি ইউনিয়ন জুড়ে গঠিত এই উপজেলা। এখানে বিপুল পরিমাণে আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এসব ভূমি ব্যবস্থাপনা, বীজ, সার, কীটনাশকসহ ফসলের রোগবালাই, পোকা-মাকড় নিধন ও উন্নত ফলনশীল জাতের উৎপাদনে কৃষকদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি বিভাগ পরিচালনার জন্য ৩৩টি পদ থাকলেও এখানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৭ জন। বাকি ১৬টি পদ শূন্য রয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ২১ জনের পরিবর্তে রয়েছে ৯ জন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারের দুইজনের পরিবর্তে রয়েছে একজন, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, প্রধান সহকারী ও ক্লিনারের পথটি শুনে রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন হাওলাদার বলেন, জনবল সংকট থাকার কারণে অনেক সময় শুক্রবার-শনিবার ছুটির দিন হলেও সকাল-সন্ধ্যা কৃষকের সঙ্গে কাজ করতে হয়। অনেক পর্যায়ের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ১৬টি পদ শূন্য থাকায় সবাইকে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। জনবল ঘাটতী পুরণ হলে এই উপজেলা কৃষি কাজে অনেকটা এগিয়ে যাবে।
Leave a Reply