কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ডভ্যান, ট্যাংলরী শ্রমিক ইউনিয়ন কবুরহাট শাখা অফিসে সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে মহিদুল নামের এক সদস্য গুরুতর আহত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ হামলায় ঘটনায় আলিম কবিরাজ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়, আসামী ১। মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩০), পিতা- মোঃ আজিজুল মিস্ত্রি, সাং করুরহাট সদারপাড়া, ২। মোঃ আনারুল ইসলাম (৩০), ৩। মোঃ রানা (৩২), সর্ব পিতা- মৃত রহিম আলী, সর্বসাং কবুরহাট সর্দ্দার পাড়া, ৪। মোঃ রাসেল (৩০), পিতা- দাউদ আলী, সাং- কবুরহাট সর্দ্দার পাড়া, থানা ও জেলা- কুষ্টিয়া ইং ১০/০৫/২০২২ ইং তারিখে সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় কবুরহাট কুষ্টিয়া জেলা ট্রাকটর কাভার্ড ভ্যান ট্যাংক লড়ি দাহ্য পদার্থ বহনকারী ব্যহিত শ্রমিক ইউনিয় রেজিঃ নং খুলনা-১১১৮ এর সাব কার্যালয় এসে প্রতি দিন ২ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা হিসাবে দাবীকৃত টাকা প্রদান না করলে অফিস ভংচুর সহ তালাবন্ধ করিয়া দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি আলিম কবিরাজ কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়কে অবহিত করলে তারা বিষয়টি দেখবে বলে আশ্বাস প্রদান করে।
আরো জানা যায়, পরবর্তীতে পুনরায় আসামীরা চাঁদা দাবী করলে দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় আসামীগণ অদ্য ইং ১২/০৫/২০২২ তারিখ বেলা অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় কবুরহাট অফিস কার্যালয়ে এসে দাবীকৃত ২ দিনের চাঁদা ৪ হাজার টাকা চাইলে আলিম কবিরাজ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীগণ প্রথমে আলিম কবিরাজকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিলঘুসি মেরে গামছা দিয়ে তার গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করার সময় কার্যালয়ের ২ নং সদস্য মহিদুল ঠেকাতে আসলে আসামীগণ আলিম কবিরাজকে ছেড়ে দিয়ে ১ নং সাদ্দাম তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মহিদুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মহিদুলের মাথার উপর বাম চোখে স্বজরে আঘাত করে রক্তাক্ত হাড় ফাটা জখম করে। এই আঘাতে তার ৪ টি সেলাই লাগে। তাছাড়া আসামী সাদ্দাম তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মহিদুলকে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। সেই সাথে আসামী আনারুল তার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে আলিম কবিরাজকে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করে কালশিরা ফোলা জখম করে। আসামী রানা, রাসেল তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে মহিদুলের মৃত্যু নিশ্চত করার জন্য এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করে। আসামী সাদ্দাম মহিদুলের বুক পকেটে থাকা গাড়ী ভাড়ার ৭০,৫০০/= টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং অফিসের চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এই ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ডভ্যান, ট্যাংলরী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ছাব্বিরুল আলমের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার পর সেখানে পৌছায় স্থানীয় জগতি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এস আই মেহেদী হাসান মুন্নু। মুঠো ফোনে তিনি জানান, শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে, তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর বন্ধ করে দেয়া হয় কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ডভ্যান, ট্যাংলরী শ্রমিক ইউনিয়নের কবুরহাট শাখা অফিস। কয়েক ঘন্টা পরে খোলা হয় কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
Leave a Reply