তালতলীতে মেয়ের নুপুরের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ,খাল থেকে লাশ উদ্ধার
মোঃ লিমন গাজী
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে মেয়ের নুপুরের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে সুফিয়া বেগম(৫৫)নামের নারীর নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজের তিন দিন পরে খাল থেকে তার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (০৫ এপ্রিল) বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের ডালির খাল থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। সুফিয়া বেগম ঐ ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের আলম বয়াতীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুফিয়া বেগম গত সোমবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মেয়ের নুপুর তৈরি করার জন্য মানুষের বাড়িতে টাকা সংগ্রহ করার জন্য বের হয়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। দুই দিন যাবৎ স্বজনেরা বাড়ির আশপাশের স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। তবে তার কোনো সন্ধান পাননি। আজ বিকাল তিন টার দিকে নিখোঁজ সুফিয়া বেগমের মেয়ে আজমাইন ডালির খালে তার লাশ ভাসতে দেখেন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা এসে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন। এর পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে খাল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। তবে এটা হত্যা নাকি অন্য কিছু তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের মেয়ে আজমাইন বলেন, সোমবার রাত ৯টার দিকে আমার ছোট বোনের একজোড়া নুপুর তৈরি করার জন্য মানুষের বাড়িতে টাকা ধার চাইতে বের হয়। এরপরে মা আর বাড়িতে ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেছি। পরে আজকের দুপুরের দিকে ডালির খালে মায়ের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশ কে খবর দিয়েছি। আমাদের সাথে মায়ের চাচাতো বোনদের স্বামী সোনা মিয়া গং দের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিলো। আমাদের সন্দেহ তারাই আমার মাকে হত্যা করে খালে ফেলে রাখতে পারে।
এবিষয়ে সোনা মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ডালির খালে লাশ ভাসতে দেখে সুফিয়া বেগমের পরিবারের লোকজন খবর জানিয়েছেন। খবর পেয়ে খাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরাতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোন কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন লাশ ফুলে উঠেছে। আঘাতের কোন চিহ্ন আছে কিনা দেখা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরে বলা যাবে এটা হত্যা কি না।
Leave a Reply