আশরাফুল ইসলাম সবুজ
জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদী:
নরসিংদীর রায়পুরায় পারিবারিক কলহের জেরে আফসানা আক্তার আফসার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী হযরত আলী (৩৮) পলাতক রয়েছে। বুধবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী মর্গে প্রেরণ করেছে।
পরে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে নিহতের মা হাসনাহেনা বেবি বাদী হয়ে ঘাতক স্বামী সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে রায়পুরা থানায় একটি মামলা করে। নিহত আফসানা আক্তার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ এলাকার আফসার উদ্দিনের মেয়ে। অপরদিকে স্বামী হযরত আলী একই ইউনিয়নের নলবাটা এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ সন্তানের জন্ম হয়। মামলার এজাহারে জানাযায়, স্বামী হযরত বিদেশে যাওয়ার সময় ৩ লক্ষ টাকা নেয়। পরে বিদেশ থেকে আশার পর আফসানাকে বাপের বাড়ি থেকে আরো ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আসার জন্য বলে। এ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে গতকাল রাতে এরই জেরে আফসানাকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে যায়।
নিহত আফসানার মেয়ে ছোঁয়া জানায়, রাতে তার মাকে হত্যার পর তার বাবার হাতে রক্ত দেখতে পায় তার ছোট ভাই সাইফ। পরে হাতে রক্ত লেগে থাকার কারন জানতে চাইলে তার বাবা বলেন একটি মুরগী জবাই করেছেন তিনি। এরপরই তারা মা’য়ের মরদেহ দেখতে পায়। পরে তারা দৌড়ে গিয়ে নানু বাড়িতে মা’য়ের খবর জানায়৷
স্বামীর পরিবারের লোকজন জানায়, ১২ বছর আগে এ দম্পতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আফসানা পরকীয়ায় আসক্ত ছিলো। স্বামী হযরত আলী মালয়েশিয়া থেকে দেড় মাস আগে ছুটিতে আসেন। এরপর এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়তই ঝগড়া হয়৷ এক পর্যায়ে হযরত আলী আফসানাকে ঘরের পিছনে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি এ ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে কি না এটা তদন্ত চলছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply