1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
নিজের অপকর্মেকে ঢাকতে, দূঘর্টনাকে হামলা বলছেন চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ - dainikbijoyerbani.com
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
ad

নিজের অপকর্মেকে ঢাকতে, দূঘর্টনাকে হামলা বলছেন চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩
  • ৮৯ Time View

 

আশরাফুল ইসলাম সবুজ
জেলা প্রতিনিধি,নরসিংদী :-নরসিংদী রায়পুরায় রাতের আঁধারে ব্যাটারিচালিত দুই অটোরিকশা সংঘর্ষে ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আহত হয়েছে। এ ঘটনাটিকে উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ’র সমর্থকরা পরিকল্পিত হামলা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেন।

গত শুক্রবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাখরনগর- সাহেবনগর-তুলাতলী সড়কের ঝালুরচক নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি পরিকল্পিত হামলা নাকি নেহায়েত দূর্ঘটনা এর রহস্য উদঘাটনে ‘শিরোনাম প্রতিদিন’ এর এই প্রতিবেদক রবিবার (৯ জুলাই) সরেজমিনে উত্তর বাখরনগরের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ তার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই ইউপির সাবেক সদস্য পন্ডিত মেম্বারকে সাথে দেখা করতে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অডিটোরিয়ামের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (বিভাটেক) যোগে যাওয়ার পথে বাখরনগর-সাহেবনগর-তুলাতলী সড়কের ঝালুরচক নামক স্থানে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে চেয়ারম্যানকে বহনকারী অটোরিকশাটি উল্টে হাবিব উল্লাহসহ তার সাথে থাকা বৃদ্ধ পন্ডিত মেম্বার ও চালক নিচে পড়ে যায়। সংর্ঘষে হাতে পায়ে আঘাত পায় চেয়ারম্যান ও সাথে থাকা সাবেক মেম্বার। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশা (বিভাটেক) চালক মো. হৃদয় (১৬) ভয় পেয়ে তার রিকশায় থাকা ওই এলাকার দুই যাত্রী (পেশায় রাজমিস্ত্রি) কে নিয়ে দ্রুত অটোরিকশা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এঘটনার পরপর চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ প্রতিপক্ষ (তার বিরুদ্ধাচারকারী ইউপি সদস্যদের) কে ফাঁসাতে কৌশলে এ ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হামলা বলে তার লোকজন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এমনকি জেলা পুলিশের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে দেওয়া হয়। ফলে রায়পুরাসহ পুরো জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা বলেন, সামান্য অটোরিকশা দুর্ঘটনা নিয়ে একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের এমন মিথ্যাচারে হতবাক ইউনিয়নের বাসিন্দারা।সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ইউনিয়নের ১০ জন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ’র বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়। এতে চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থসহ তার সম্মানহানি হয়। এর জেরে শুক্রবার রাতের অটোরিকশা দুর্ঘটনার ঘটনাটি পরিকল্পিত হামলার ঘটনা বলে অনাস্থা দেওয়া ইউপি সদস্যদের ফাঁসানোর জন্য ফেসবুকে প্রচার ও ভাইরাল করে দিলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। যা প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো কৌশল মাত্র বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা বলেন, তবে সবকিছু খোলসা হবে যদি বিবারটেক চালক হৃদয়কে খুঁজে বের করে আনা যায়। সেই বলতে পারবে সেদিনের ঘটনাটি কি নেহায়েত দুর্ঘটনা ছিল নাকি পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে চেয়ারম্যানের উপর। এ নিয়ে পুরো এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চেয়ারম্যানের সাথে থাকা পন্ডিত মেম্বারের সাথে বলেন, তিনি এবিষয়ে কোন কথা বলবে না বলে জানায়। তিনি বলেন, ‘আমাকে জানতে হবে আপনাদের কে পাঠিয়েছে।’ কেউ পাঠায়নি ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আসলে সেদিন কি ঘটনা ঘটেছে তা জানতে এই এলাকায় আসা’ এই প্রতিবেদক এমনটা বলে তাকে আশ্বস্ত করলে তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে চেয়ারম্যান আমাকে সাথে নিয়ে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপির মিটিং এ যাওয়ার জন্য বিভাটেকযোগে রওয়ানা হয়। ঝালুরটেক নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বিভাটেকের সাথে সংঘর্ষ হলে আমাদের বিভাটেকটি উল্টে যায়। এসময় চেয়ারম্যানসহ আমি চালক উভয় রিক্সার যাত্রীরা নিচে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাই। পরে বিপরীত দিক থেকে আসা বিভাটেক চালক ও যাত্রীরা উঠে আমাদেরকে কোনরকম সাহায্য না করে দ্রুত পালিয়ে যায়।’

এঘটনাটি দূর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হামলা আপনার দৃষ্টিতে কি মনে হয় পাল্টা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এমপি সাহেব দেখবেন বলে জানিয়েছেন। তাই এবিষয়ে আমার কোন কথা বলা ঠিক হবে না।’

ঘটনার পর উদ্ধারে এগিয়ে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘ঘটনা পর আমি এসে দেখি বাখরনগরের চেয়ারম্যানসহ তিনজন অটোরিকশার নিচে চাপা পড়ে আছে। তখন আমি আরও দুইতিনজন অটোরিকশাটি সরিয়ে তাদেরকে টেনে তুলি। আমার মনে হয় উভয় গাড়ির চালকদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে গাড়ির চালক ও যাত্রীরা পালিয়ে না গেলে এঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা এ রটনা রটাতে পারতনা।’

বিভাটেক চালক হৃদয়ের বাবা মো. মোস্তফা বলেন, ‘ঘটনার পর ভয়ে আমার ছেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এসেছে বলে আমাকে জানায় সে। চেয়ারম্যানের ভয়ে পরে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। দেড়দিন পর তার সন্ধান পেয়ে আমি তার সাথে দেখা করি এবং তার দেড়দিন পরে তাকে খুঁজে বের করে তার খালার বাড়িতে রেখে আসি। পরে শুনতে পাই সেখান থেকেও সে পালিয়ে গেছে। আমি আমার ছেলেকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। চেয়ারম্যানের লোকেরা এলাকায় এঘটনাটি হামলা করা হয়েছে বলে বেড়াচ্ছে এতে আমরাও ভয় পাচ্ছি না জানি চেয়ারম্যান এর জেরে কিনা করে বসে। বর্তমানে আমরা চরম আতঙ্কে আছি। তবে সাফাই নয় যদি ঘটনাটি হামলার ঘটনায়ই হতো তবে হৃদয়ে বিভাটেকে থাকা দূজন যাত্রী ছিল তারাও তো এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেত। তারা দুজন তো এলাকাতেই আছে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।

পরে উত্তর বাখননগর ইউনিয়নের আল্লাহ মোড় থেকে একটু সামনের দিকে ওই দুই যাত্রীর বাড়ি গেলে সেসময় রাজমিস্ত্রির কাজে বাহিরে থাকায় তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোন ধরনের মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে এঘটনার মূলে বিভাটেক চালক হৃদয়ের মত এত অল্প বয়সি একটি ছেলের পক্ষে এত বড় একটি কাজ করা কোনভাবেই সম্ভব নয় বলে আমি ধারণা করছি।’

এবিষয়ে উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ’র বাড়ি ও পরিষদের গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি