নিজেস্ব প্রতিবেদক
সাম্প্রতিক সময়ে ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে অপরাধ চক্র বৃদ্ধি পাওয়ায় সমাজে বিশৃঙ্খলা বৃত্তি ও গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধে ফেসবুক আইডি হ্যাকারদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। আজ গন মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক। বর্তমানে এ মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪কোটি৩০লাখ। বর্তমানে এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থাৎ f-commerce এ লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ২শত কোটি টাকা। এছাড়া গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশিত হয় ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।
এমনকি ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের পাশাপাশি পারিবারিক যোগাযোগ ও অনুষ্ঠানাদি প্রকাশিত বা প্রচারিত হচ্ছে এর মাধ্যম ব্যবহার করে। বর্তমান করোনা মহামারীতে ঘরে বসে সকল তথ্য ও বিনোদন এর অন্যতম মাধ্যমে সালে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এ সুযোগকে অসৎ কাজে ব্যবহার করার কাজে লিপ্ত রয়েছে একশ্রেণীর প্রতারক যাকে আমরা ফেসবুক হ্যাকার হিসেবে বলে থাকি। এই প্রতারক চক্র পরিচিত এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আইডি হ্যাক করে তার পরিচিত একজনের কাছে মিলযুক্ত ফিশিং লিংক পাঠাচ্ছে। আর পরিচিতজনের লিংকটি ক্লিক করার সাথে ওই হ্যাকার চক্র তার আইডিটি হ্যাক করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। এরপর ঐ আইডির দাবিদার ব্যক্তির কাছে আইডি ফেরত দেওয়ার কথা বলে অর্থ চাচ্ছে। শুধু তাই নয় তার পরিচিত জনের কাছে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে জরুরী প্রয়োজনে দরকার বলে অর্থ চাচ্ছে। অনেকেই না বুঝে বা যোগাযোগ না করেই অর্থ দিয়ে দিচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে আমাকেও তারা আমার পরিচিত আইনজীবী আলম সাহেবের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আমার কাছেও অর্থ চাওয়া হয়েছিল। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয় কারণ, এডভোকেট আলম একজন সফল ব্যক্তি তিনি আমার কাছে অর্থ সাহায্য চাইতে পারেনা।
পরবর্তীতে আমি আলম সাহেবের কাছে জানতে পারি তার আইডি হ্যাক করা হয়েছিল এবং তার পরিচিত জনের কাছ থেকে ইতিমধ্যে ১৮হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ঐ হ্যাকার চক্র। আমরা গণমাধ্যমে প্রায় সময়ই এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হরহামেশাই দেখছি এই হ্যাকার চোপড়াদের দৌরাত্ম্যের কথা। তাই আমরা সরকার ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত সকল বাহিনীর কাছে দাবি জানাচ্ছি এই সকল অপরাধ চক্র কে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।
Leave a Reply